পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তমোব বিদিত্বাতিমৃত্যুমেতি। দের জ্ঞানের বিচারাধীন, আর যে অংশ আমাদের দৃষ্টিরেখার অতীত, তাহা ইহার বহির্ভূত। তবে সৃষ্টিলীলাতে যিনি অভিব্যক্ত তিনিই আমাদের জ্ঞানের বিষয়ীভূত। যেমন পরিমিত জড় বস্তুর আশ্রয় ব্যতীত पूनश জ্ঞান হয় না, অসীম আকাশে দুইটী পরিমিত পদার্থকে দুইটী বিন্দুস্বরূপ না ধরিলে যেমন দূরত্বের পরিমাণ হয় না, তেমনি অসীম সত্তাসাগরে প্রকট লীলার সাহায্য না লইলে, তাহার সরূপের পরিচয় হয় না । আবার এই জ্ঞান সম্বন্ধে আর একটী কথা সর্বদা স্মরণ রাখিতে হইবে। “বোধ” ও “ধারণ” এই উভয়ের মধ্যে যে প্ৰভেদ আছে তাহা লক্ষ্য করিতে হইবে । এরূপ অনেক বিষয় আছে, যাহার বোধ মাত্র হয়। কিন্তু ধারণা হয় না । ধারণা শব্দের অর্থ মনের সম্পূৰ্ণ আয়ত্ত করা । ইহা ক্ষুদ্রে ভিন্ন সম্ভব নহে। আমরা সকলেই শুনিয়াছি, পৃথিবীর পরিধি এগার হাজার ক্ৰোশ । এই এগার হাজার ক্রোশ কিরূপ তাহা কি কেহ ধারণা করিতে পারেন ? অর্থাৎ তাহার একটা সমগ্ৰ ছবি কি মনের মধ্যে অঙ্কিত করিতে পারেন ? কেহই পারেন। না। তবে কি বলিবেন, পৃথিবীর পরিমাণ কত আমরা জানি না, তাহার পোধিও নাই ? তাহা কিরূপে বলিব ? যদি কিছু মাত্ৰ বোধ না থাকিবে তবে কিরূপে জানিলাম, উহার পরিধি এগার হাজার ক্রোশ ? পৃথিবীর পরিমাণ সম্বন্ধে যেমন আমাদের বোধ আছে কিন্তু ধারণা নাই, তেমনি ঈশ্বর স্বরূপ সম্বন্ধে বোধ আছে, ধারণা নাই। তঁহার স্বরূপ আংশিক রূপে