পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

", S 8 शडिौयन । । সাধুজনের উপদেশে, মানবের অন্তর্নিহিত ধৰ্ম্মবীজকে প্রফুটিত করে। সেই উপদেশই প্রকৃত উপদেশ যাহা আমাকে প্রফুটিত করে, আমার অন্তরে যাহা নিহিত ছিল, তাহাকে বাহিরে প্ৰকাশ করে, আমাকে আপনার নিকট অভিব্যক্ত করে। আমার ভিতরে যাহা মুদিয়া আছে, তাহ ফুটিয়া যখন আমার নিকট আগমন করে, তখনই আমি গ্ৰহণ করি, এবং তাহা । আমার আত্মার সম্পত্তিরাপে পরিণত হয় । , কিন্তু এই আত্মসাৎ করণের পক্ষে আর একটি প্রক্রিয়ার প্ৰয়োজন —তাহা মনন । মনন শব্দের অর্থ নিজ অন্তরে তর্ক বা বিচার । সর্ববিধ জ্ঞানের সম্বন্ধেই নিয়ম এই যে যাহা অপরের মুখে শ্রুত হওয়া যায়, তাহ নিজ অন্তরে নিজের জ্ঞানের সহিত মিলাইয়া লইতে হয় ; সত্যের বাক্যকণিকা সকলকে বিচার চালুনীতে ছাকিয়া গ্ৰহণ করিতে হয়। এই মনন ক্রিয়ার দুইটা ফল, গ্রহণ ও বর্জন। যেমন দেহের অন্নপান সম্বন্ধে দেখিতে পাই যে গ্রহণ ও বর্জন প্ৰণালীদ্বারা তাহা আমাদের দেহের অঙ্গীভূত হয়, তেমনি পর-মুখ-লব্ধ জ্ঞান ও বিচার দ্বারা গৃহীত ও বর্জিত হইয়া আমাদের আত্মার অঙ্গীভূত হয়। যাহার মনন শক্তি নাই, জ্ঞানের শ্রবণ তাহার পক্ষে ঘোর বিড়ম্বন । অনেক ছাত্রের এ প্রকার দুর্দশ দেখিতে পাই, তাহারা সর্বশেষে যে গ্ৰন্থখানি পাঠ করে, সেই ভাবাপন্ন হয়। ইহার অর্থ তাহদের নিজের কিছু দিবার নাই, নিজেদের দাড়াইবার ভূমি নাই ; বিচার শক্তি, নাই, মননের সামর্থ্য নাই। আর বস্তুতঃ যাহারা শাস্ত্র রচনা করিয়াছেন