পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন । 9ܛ আমাদের জ্ঞানের বিষয়ীভূত হয় মাত্র, কিন্তু ধারণা হয় না। এই কারণে উপনিষদকার ঋষিগণ বলিয়াছেন ঃ “নাহং মন্যে সুবেদেতি নোন বেদেতি বেদ চ | যেন স্তদ্বেদ। তদ্বোদ নোনি বেদেতি বেদ চ৷” অর্থ-আমি যে ব্ৰহ্মকে সুন্দরীরূপে জানিয়াছি এমন কথা বলি না, কিছু যে না জানি এমন কথাও বলি না ; তঁহাকে জানি। অথচ জানি না, ইহার মৰ্ম্ম আমাদের মধ্যে যিনি বুঝিয়াছেন, তিনিই তীহাকে জানিয়াছেন। এখানে আর একটী প্রশ্ন উঠিতে পারে, আমরা ঈশ্বরকে কিরূপে জানি ? সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে ? আমাদের আত্মজ্ঞানই সাক্ষাৎ জ্ঞান ; আমরা বস্তুতঃ সাক্ষাৎভাবে কেবল আপনাকেই জানি । জড়ের যে জ্ঞান তাহা আত্মজ্ঞানে প্ৰতিবিম্বিত জ্ঞান; অপর আত্মার যে জ্ঞান, তাহা আকার, ইঙ্গিত চেন্টাদি দ্বারা অনুমান-লব্ধ জ্ঞান। ঈশ্বর জ্ঞান কি সাক্ষাৎ জ্ঞান, অথবা সৃষ্টিলীলা দর্শনে অনুমান-লব্ধ পরোক্ষ জ্ঞান ? সৃষ্টিলীলা দর্শনে স্রষ্টার অনুমান-যদি ইহাই ঈশ্বর-জ্ঞানের একমাত্ৰ সোপান হয়, তাহা হইলে ঈশ্বরজ্ঞানকে অতিশয় সংশয়াকুল ভূমির উপরে দণ্ডায়মান থাকিতে হয়। এই জন্য চিন্তাশীল সাধকের বলিয়া থাকেন যে আত্মজ্ঞানের মূলেই ঈশ্বর জ্ঞান নিহিত । যে জ্ঞান-ক্রিয়ার দ্বারা আমরা আত্মাকে জানি, সেই জ্ঞান-ক্রিয়া দ্বারাই পরমাত্মাকে জানি। দৃষ্টান্তস্বরূপ মনে কর, প্ৰত্যেক জড়পদার্থ আকাশকে আশ্রয় করিয়া থাকে, কিন্তু যে প্ৰত্যক্ষের দ্বারা জড়ের জ্ঞান হয়, তদ্বারাই