পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুরাৎ সুদূরে তদিহান্তিকে চ | SS কোনও বিষাক্ত পদার্থ প্রবিষ্ট হইয়াছে, যাহা অন্তরস্থ ধাতু সকলকে বিনষ্ট করিতেছে, সেজন্য রোগের উৎপত্তি। যদি তাহার প্রতিবন্ধক কোন প্ৰকার উপায় অবলম্বিত না হয়, তাহা হইলে সেই বিষ স্বাভাবিক নিয়মে নিজ কাৰ্য্য করিয়া যাইবে ; ক্ৰমে অন্তরস্থ ধাতু সকলকে বিনষ্ট করিয়া ফেলিবে। এই বিনাশ স্বাভাবিক নিয়মে ঘটবে, কাৰ্য্যকারণ শৃঙ্খলের গুণেই ঘটিবে। কিন্তু চিকিৎসক এমন একটী ঔষধ প্রয়োগ করিলেন, যাহা দেহ মধ্যে আর একটী নূতন শক্তি প্রবিন্ট করিল। তাহার কাৰ্য্য ও কাৰ্য্যকারণ শৃঙ্খলের অনুসারেই হইতে লাগিল ; ফল হইল রোগ-মুক্তি। সেইরূপ প্রার্থনারও একটী স্বতন্ত্র নিয়ম আছে ; তাহার কাৰ্য্য ও কার্স্যকরণ-শৃঙ্খলের অনুসারেই ঘটিয়া থাকে ; তাহাকে অতিক্রম করিয়া কিছু হয় না ; ঈশ্বর মানব-ইচ্ছার বশবৰ্ত্তী হইয়া কিছু করেন না, বরং মানব তাঁহার ইচ্ছার বশবৰ্ত্তী হয় বলিয়াই কাৰ্য হয়। চিকিৎসকের ঔষধ যেমন দেহ মধ্যে এক নবশক্তিকে প্রবিষ্ট করে, যাহা রোগীকে চরমে রোগমুক্ত করে, তেমনি প্রার্থনাও মানবের আত্ম-মধ্যে এক নবশক্তিকে প্রবিন্ট করে, যাহা তাহাকে পাপ হইতে নিন্মুক্ত করে। প্রার্থনার এই অদ্ভুত নিয়ম কি প্ৰাণালীতে কাৰ্য্য করে, তাহ সম্পূৰ্ণ লক্ষ্য করিতে পারা যায় নাই । প্রেমিক সাধকগণ তঁহাদের অভিজ্ঞতা দ্বারা এই মাত্ৰ দেখিয়াছেন, যে গভীর সংগ্রামের মধ্যে পড়িয়া সকাতরে ঈশ্বরচরণে প্রার্থনা করিলে তাহ পূর্ণ হয়, এইমাত্র। এই কারণেই তঁহারা বলিয়াছেন, যে চায় সেই পায় ।