পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্তীতি ক্ৰবতোন্তাত্ৰ কথং তদুপলভ্যতে । Sò দেখিবার প্রয়াস পাও, তাহা হইলে তোমার সহিত আমার চিরবিচ্ছেদ ঘটবে। সাইকী সেই ভয়ে আর ঈরসের মুখ দেখিবার ইচ্ছা করিতেন না। র্তাহার মধুর বাণী শুনিয়াই তঁহার প্রতি প্ৰীতি স্থাপন করিয়াছিলেন । কিন্তু এজন্য সাইকীর ভগিনীগণ সর্বদাই তাহাকে উপহাস ও বিদ্রুপ করিত। তাহারা বলিত—“তুই না জানিয়া কাহার হস্তে প্ৰাণ দিলি ? সে দেব, কি মানব, কুরূপ কি সুরূপ, সৎ কি অসৎ তাহার কিছুই জানিলি ন, অথচ তাহার সহিত প্ৰণয়ে আবদ্ধ হইলি । তুই অতি নির্বোধ, তুই নিশ্চয় প্রতারিত হইয়াছিস।” সাইকী অনেক দিন এই উপহাস ও বিদ্রুপের প্রতি উপেক্ষা প্ৰদৰ্শন করিলেন। কিন্তু অবশেষে এক দিন ভাবিতে লাগিলেন—“তাইত এ দেব কে ? কিরূপ আকৃতি, কিরূপ প্রকৃতি, তাহা একবার দেখিলাম না। ; একবার দেখাতে হানি কি ?” এইরূপ ভাবিয়া অবশেষে স্থির করিলেন যে, সেই দিন ঈরস ঘুমাইলে প্ৰদীপ জালিয়া তাহার মুখ দেখিবেন। তদনুসারে রাত্ৰি-শেষে উঠিয়া সাইকী বাতি জ্বালিয়া দেখেন যে মোহন-মুৰ্ত্তি প্ৰেম অকাতরে ঘুমাইতে । ছেন। এমন রূপ সাইকী কখনও চক্ষে দেখেন নাই । দেখিয়াইঃ সাইকীর মন প্ৰাণ মুগ্ধ হইয়া গেল। কিন্তু সেই মুহুর্তেই প্ৰদীপ্ত বাতি গলিয়া মুখে পড়িয়া ঈরসের নিদ্ৰাভঙ্গ হইল। ঈরস দেখিলেন সাইকী মন্ত্র-মুগ্ধর ন্যায় তাহার মুখের দিকে চাহিয়া আছেন। ঈরস বলিলেন- ‘সাইকি ! সাইকি ! এ কি করিলে ! কেন চিরবিচ্ছেদ ঘটাইলে ? তবে বিদায় ! বিদায় ! এই জন্মের মত বিদায়, আর আমাকে দেখিতে পাইবে