পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তমেব বিদিত্বাতিমৃত্যুমোতি। আকাশেরও জ্ঞান হয়। আকাশকে চিন্তাক্ষেত্ৰ হইতে দূরে রাখিয়া আমরা জড়ের চিন্তা করিতে পারি না । জড়ের স্বরূপ চিন্তা করিতে গেলেই “আকাশে স্থিত।” এ চিন্তাও তাহার অন্তনিহিত থাকে। সেইরূপ যে জ্ঞান-দৃষ্টি দ্বারা আমরা আত্মস্বরূপ লক্ষ্য করি, সেই দৃষ্টিই আমাদের নিকট পরমাত্মসত্তাকে প্ৰকাশ করিয়া থাকে। অতএব পরমাত্মজ্ঞান কেবলমাত্র অনুমান লব্ধ নহে, আত্মজ্ঞানের মূলে নিহিত, সুতরাং অব্যবহিত । তবে আত্মজ্ঞানে আমরা যাহাকে আত্মার প্রতিষ্ঠা-ভূমিরূপে দর্শন করি, অনুমান আবার সেই আত্মপ্রত্যয়কে দৃঢ় করিয়া র্তাহার জ্ঞানকে উজ্জ্বল করিয়া থাকে। আত্মার মূলে আমরা যাহাকে সৎ বলিয়া প্ৰতীতি করি, সৃষ্টিলীলার মধ্যে তঁহারই স্বরূপের অভিব্যক্তি দেখিতে পাই । এইরূপ অন্তরে বাহিরে সাক্ষ্য পাইয়া আমরা ব্ৰহ্মজ্ঞানে প্ৰতিষ্ঠিত হই। এইজন্য উপনিষদকার ঋষি বলিলেন—“যিনি বাহিরে আকাশে, তিনি অন্তরে হিরন্ময় পরম কোষে।” এক্ষণে দেখ জ্ঞানের দিক দিয়া সৃষ্টিলীলার মধ্যে সৃষ্টিকৰ্ত্তাকে দেখিতে গিয়া কি দেখিতে পাই ? প্ৰথমে দেখি, তিনি ‘সত্যং”। প্ৰকৃত সত্যের তিনটী লক্ষণ ; ইহা স্বয়ন্ত, নিত্য ও স্বতন্ত্র । কারণ যাহার উৎপত্তি অপরের স্থিতিসাপেক্ষ, তাহা উক্ত আদি বস্তুরই বিবর্তিত রূপান্তর মাত্র, স্বতন্ত্র সত্তা নহে ; সুতরাং সত্যও নহে। সেইরূপ যাহা স্বয়ম্ভ হইয়াও বিনাশশীল, তাহাও ঠিক সত্য নহে, তাহার সত্তা বায়ুতাড়িত শারদম্ভ্রের ন্যায় ক্ষণিক । তৃতীয়তঃ, যাহার স্থিতি ও বিনাশ