S Rø थुन्द्वीस्खौरन । অধীন হইয়াছেন, অন্যায়ের প্রতি দ্বেষ ও ন্যায়ের প্রতি আস্থা যাহার হৃদয়ের স্বাভাবিক ভাব হইয়াছে, ঈশ্বর ন্যায়স্বরূপ এ কথা বলিলে কি তিনি তৎক্ষণাৎ, “অস্তি” বলিয়া উঠেন না ? র্তাহাকে কি আর যুক্তি পরস্পরার অপেক্ষা করিয়া থাকিতে হয় ? সেইরূপ নিস্বর্থ প্ৰেম যে হৃদয়ে আছে, ঈশ্বর প্রেমস্বরূপ এ কথা বুঝিতে। আর তাহার বিলম্ব হয় না, উচ্চারণ মাত্র সে হৃদয় বলে, ঠিক অস্তি, অস্তি, তিনি প্রেমস্বরূপই বটে। অতএব আমাদের সত্য-প্ৰিয়তার দ্বারা জানি তিনি সত্যস্বরূপ, ন্যায়পরায়ণতার দ্বারা জানি তিনি ন্যায়স্বরূপ, প্রেমিকতার দ্বারা জানি তিনি প্রেমস্বরূপ এবং পবিত্রতার দ্বারা জানি তিনি পবিত্ৰ স্বরূপ। অর্থাৎ, যে পরিমাণে ; আমরা তঁহার স্বরূপের অনুরূপ হই, সেই পরিমাণে র্তাহাকে জানিবার অধিকারী হই । নিৰ্ম্মল-চিত্ত ব্যক্তি শুনিবা মাত্র বলেন-‘অস্তি’, এবং সেইরূপ ব্যক্তিই তাহাকে উপলব্ধি করিতে পারেন। এরূপ চিত্তে সংশয়ের উদয় হয় না । ঈশ্বর ন্যায়ের একটা সিদ্ধান্ত নহেন যে তাহাকে সর্বদাই তৰ্কশাস্ত্রের বিশুদ্ধ রীতি অনুসারে নির্ণয় করিতে হইবে, তিনি আধ্যাত্মিক শক্তি, সুতরাং অপরাপর শক্তি সম্বন্ধে যেমন এই নিয়ম দেখি যে সংশয়ের অঙ্গুলির স্পর্শ মাত্রেই তাহ অন্তহিত হয়, তাহার সম্বন্ধেও সেই নিয়ম। সংশয়ের রেখাপাত মাত্ৰ ভঁাহাকে খুজিয়া পাওয়া যায় না। এই জন্য ঋষিগণ বলিয়াছেন অস্তীতি ব্রুিবতোস্থ্যত্র কথং তদুপলভ্যতে |
