পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

feat as sf Swed পরমাৰ্থ চিন্তনে উন্মুখ হয় না। তখন যদি তাহাদিগকে উপদেশ দেওয়া যায়,-“বিষয়-চিন্তা হইতে বিরত হও, সংসার কোলাহল হইতে অবস্থিত হও, ঈশ্বরচিন্তাতে মনোনিবেশ কর-” সে সকলি বৃথা । মন ৪০ ৫০ বৎসর যে সকল বিষয় চিস্ত করে নাই, তাহার চিন্তাতে কি হঠাৎ ব্যাপৃত হইতে পারে ? বিষয়-কোলাহল ত্যাগ করিতে বলিলে কি হইবে, তাহাই যে ভাল লাগে ! এইরূপ বিষয়ীদিগের মৃত্যুকাল দেখিয়া সাধুৱা অনেক শোক করিয়াছেন। এইজন্য চিত্তকে নিজ জীবনের সুখ দুঃখের উপরে তুলিবার নিমিত্ত প্ৰথম উপদেশ এই—মনকে সর্বদা জ্ঞানালোচনা দ্বারা উদার ও প্ৰশস্ত করা এবং জগতের কল্যাণ-চিন্তাতে আপনাকে অভ্যস্ত করা ! যে কোনও উপায়ে মানুষকে নিজের গভীর ভিতর হইতে বাহির করিয়া আনে এবং স্বাৰ্থচিস্ত হইতে দুরে লইয়া যায়, তাহাই অবলম্বনীয়। এতদ্ভিন্ন ভক্তিপথাবলম্বীগণ যে পথ অবলম্বন করিয়াছিলেন আমাদিগকেও সেই পথ ও অবলম্বন করিতে হইবে। মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে গৃহীর ধৰ্ম্ম এবং সামাজিকের ধৰ্ম্মরূপেই প্রচার করিয়াছিলেন, সুতরাং সুখ দুঃখময় সংসারে বাস করিয়াও আত্মা যাহাতে শান্তিতে থাকিতে পারে। সেই পথ আমাদিগকে আবিষ্কার করিতে হইবে। পূর্বোক্ত বচনে সেই বিষয়েরই উপদেশ প্ৰাপ্ত হওয়া যাইতেছে। সেই পরাৎপর পরম, পুরুষকে দেখিলে, মন আর ক্ষুদ্র বস্তুতে আসক্ত থাকে না, এই জীবনের সুখ দুঃখ আর সমগ্ৰ হৃদয়কে অধিকার করিতে পারে না ।