পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YV)3 ধৰ্ম্মজীবন । ঈশ্বরের সন্নিধানে থাকা ও তাহাকে প্ৰেমালোকে দর্শন করার অর্থ কি ? কি প্রকার আত্মা ঈশ্বর-সন্নিধানে বাস করে ? ও তাঁহাকে দেখিবার অধিকারী হয় ? - এই স্থলে সাধুগণের উপদেশ স্মরণ হয়। সকল দেশে সাধু মহাত্মারা একবাক্যে বলিয়াছেন যে, নিৰ্ম্মল-চিত্তেরাই ঈশ্বরের দর্শন লাভ করিয়া থাকেন। নিৰ্ম্মল-চিত্ত কাহাকে বলে ? অর্থাৎ যাহার চিত্ত সৰ্ব্বাস্তঃকরণের সহিত সত্যের অনুসরণ করিতে প্ৰস্তুত, যাহাতে স্বার্থপরতা নাই, অথবা অন্য কোনও প্রকার অভিসন্ধি নাই । মানুষ যদি সৰ্ব্বদা আপনাকে কৰ্ত্তব্যপরায়ণতার বিমল বায়ুতে রক্ষা করিতে পারে, তাহা হইলে এই নিৰ্ম্মল-চিত্তত তাহার পক্ষে স্বাভাবিক হইয়া যায়। কারণ কর্তব্যপরায়ণ হইতে গেলেই মানুষকে স্বার্থপরতা ও সুখ-প্ৰিয়তার উপরে উঠতে হয়। যে ব্যক্তি স্বার্থপর ও সুখপ্রিয় সে কখনই কৰ্ত্তব্যপরায়ণ হইতে পারে না । স্বার্থপরতা ও সুখপ্রিয়তা তাহার চিত্তের গতিকে বক্রপথে লইয়া যাইবেই যাইবে । অতএব যে ব্যক্তি কৰ্ত্তব্যপরায়ণতার উচ্চ ভূমিতে আরোহণ করিয়াছেন, তিনি স্বার্থ ও সুখাসক্তির উপরেও বাস করিতেছেন। এরূপ আত্মা যে ঈশ্বরের বিমল সন্নিধানে সর্বদা বাস করিতেছেন তাহাতে কি সন্দেহ আছে ? ঈশ্বরে যাহার দৃঢ় বিশ্বাস, এবং ঈশ্বরেচ্ছ। সম্পাদনই যাহার জীবনের পরমানন্দ, তিনিই প্ৰকৃত ভাবে কৰ্ত্তব্যপরায়ণতাতে প্ৰতিষ্ঠিত। এইজন্য কৰ্ত্তব্যপরায়ণতাতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জীবনের সুখ দুঃখের উপরে উঠিবার একটী প্রধান উপায়। সমগ্ৰ ভগবদগীতার এই উপদেশ, ইহা বলিলে