পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিরন্ময় পরম কোষ । উপনিষদের একটী বচনে প্ৰাপ্ত হওয়া যায় ঃ “হিরন্ময়ে পরে কোষে বিরজং ব্ৰহ্ম নিষ্কলাম । তচ্ছন্দ্ৰিং জ্যোতিষাং জ্যোতিস্তাদ যদাত্মবিদোবিদ্যুঃ ৷” অর্থ-“হিরন্ময় পরম কোষে বিশুদ্ধ নিষ্কল ব্ৰহ্ম বিরাজিত আছেন, তিনি শুভ্ৰ, জ্যোতির জ্যোতি, আত্মবিদ ব্যক্তিগণই তাহাকে জানিতে পারেন । ” কিরূপে মানব মনে ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসার উদয় হইল ? এই প্রশ্ন বৰ্ত্তনান "সময়ে অনেক চিন্তাশীল পণ্ডিতের চিত্তকে আন্দোলিত করিতেছে। আদিম বর্বর অবস্থার মনুষ্য পশু অপেক্ষা অধিক উন্নত ছিল না । তখন মনুষ্যও পশুর ন্যায় সম্পূর্ণরূপে নিজ দৈহিক অভাব সকলের পূরণের | চেষ্টায় ব্যস্ত থাকিত ; ক্ষুধার তাড়নায় অরণ্য মধ্যে খাদ্যান্বেষণে বিচরণ করিত ; এবং বর্তমান প্ৰবৃত্তির চরিতার্থতার অতিরিক্ত আর কিছু জানিত না। দৃশ্য জগৎ ও বর্তমানকাল এই দুইটী যেমন সম্পূর্ণরূপে পশুদিগের চিত্তকে অধিকার করিয়া থাকে, তেমনি আদিম মনুষ্যেরাও চিত্তকে অধিকার করিয়া থাকিত। সেই মানবের মনে কিরূপে ব্ৰহ্ম- { জিজ্ঞাসার উদয় হইল ? এই প্রশ্ন উত্থাপিত হইলে অনেকে হয় তা বলিবেন, ইহাতে আর বিচিত্র কি ? সেই আদিম বর্বর অবস্থার