পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y 8 o ধৰ্ম্মজীবন । গিয়া অদৃশ্য জগতের অনুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত। মানবের এত দেখিবার, শুনিবার, ভাবিবার ও করিবার বিষয় রহিয়াছে, যদ্বারা মানব-মন সম্পূর্ণরূপে এই মর্ত্য জীবনে ও এই দৃশ্য জগতে আকৃষ্ট ও আবদ্ধ হইয়া থাকিতে পারে, তথাপি কেন মানবের মন দৃশ্য ও ভোগ্য বিষয় সকলকে পশ্চাতে ফেলিয়া অদৃশ্য বিষয়ের জন্য লালায়িত হইয়াছে ? পূর্বেই বলা হইয়াছে বর্তমান সময়ের অনেক চিন্তাশীল পণ্ডিত এই দুরূহ প্রশ্নের বিচারে প্রবৃত্ত রহিয়াছেন। দুই দলে ইহার দুই প্ৰকার উত্তর দিয়াছেন। এক দল বলেন যে আদিম বর্বর অবস্থার মনুষ সৃদ্মাবস্থাতে দেখিল যে, সে যখন নিদ্রিত থাকে, তখন তাহার আত্মা কোথায় যায়, কত কি দেখে, কত সুখ দুঃখ ভোগ করে। ইহা দেখিয়া বিবেচনা করিল, শরীরের অতিরিক্ত একটা আত্মা আছে, শরীর যখন নিশ্চেন্ট তখন সে ক্রিয়াশীল, তখন সে নানা স্থান ভ্ৰমণ করে ও নানা বিষয় পরিদর্শন করে ! এই বিশ্বাস হইতেই কোন ও ব্যক্তির মৃত্যু হইলে তাহার পরকালযাত্রার সহায়রপে নানাপ্রকার ভোগ্য সামগ্রী ও যুদ্ধের প্রহরণ প্রভৃতি তাহার সমাধি-মন্দিরে দেওয়ার প্রথা প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছিল। এইপ্ৰকার বিশ্বাস হইতেই আদিম অবস্থার মনুষ্যগণ স্বাভাবিক ভাবে আর একটী বিশ্বাসে উপনীত হইয়াছিল। সেটা এই, প্রভাবশালী পিতৃপুরুষগণ এবং জাতীয় নেতাগণ মৃত্যুর পরেও স্বগণের ও স্বজাতির হিতসাধনে নিযুক্ত থাকেন । এইরূপে আদিম মানব-সমাজে পিতৃপুরুষ-পুজা ও জাতীয়