পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8, ধৰ্ম্মজীবন । পক্ষে বিশেষ সহায়তা হইয়াছে। এরূপ বোধ হয় না । তাহার সদুত্তর যে প্রকারই হউক, ইহা নিশ্চিত যে মানব অগ্ৰে নিজ হৃদয়ের মধ্যে ঈশ্বরের ভাব পাইয়াছে, সেখানে এক, অনাদি, অনন্ত, অবিনাশী পরমসত্তার আভাস পাইয়াছে, তৎপরে তঁহাকে সর্বত্র অনুসন্ধান করিয়াছে। অতএব প্ৰথম যাত্ৰা ভিতর হইতে বাহিরে ৷ প্ৰথমে জড়ের মধ্যে র্তাহাকে অন্বেষণ, তৎপরে চেতন রাজ্যে তঁহাকে ’অন্বেষণ, তৎপরে মনুষ্য-সমাজে তাঁহাকে অন্বেষণ । জগতের এক এক জাতির মধ্যে এই - এক একপ্রকার অন্বেষণের ভাব বিশেষ রূপে প্ৰফুটিত হইয়াছে। প্ৰাচীন গ্ৰীকগণ প্ৰধানতঃ জড়রাজ্যে ঈশ্বরকে অন্বেষণ করিয়াছিলেন। জড়রাজ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে ইহার শৃঙ্খলা ও সৌন্দৰ্য আমাদের চিত্তকে স্বভাবত আকৃষ্ট করে । সুতরাং গ্ৰীকগণ জগতের সৃঙ্খলা ও সৌন্দৰ্য্যে ঈশ্বরকে দর্শন করিতেন। এই কারণেই যাহা কিছু সুশৃঙ্খল ও সুন্দর তাহাই তাহদের । স্পািহণীয় হইয়াছিল। এই জন্যই তঁহাদের মধ্যে চিত্রবিদ্যা ভাস্কর বিদ্যা প্রভৃতি সুন্দর শিল্পের অদ্ভুত বিকাশ হইয়াছিল। । এই সৌন্দৰ্য স্পাহা তাহদের আধ্যাত্মিক আকাঙক্ষার মধ্যেও প্রবিন্ট হইয়াছিল। :র্তাহাদের মতে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল কাৰ্য্যই পুণ্য এবং বিশৃঙ্খল ও কুৎসিত কাৰ্য্যই পাপ। যিহুদীগণ মানবসমাজে ঈশ্বরকে অন্বেষণ করিয়াছিলেন ; সুতরাং তঁাহারা তাঁহাকে ধৰ্ম্মাবহ পাপনুদ্দ বলিয়া অনুভব করিয়াছিলেন। রাজা মানব-সমাজের শাসনকর্তা সুতরাং