পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিরন্ময় পরম কোষ । I 8V) ইহঁরা ঈশ্বরকে মহারাজারূপে দর্শন করিয়াছিলেন ও সেই ভাবেই অৰ্চনা করিয়াছিলেন । ইহঁদের মতে ঈশ্বরের বিধির অনুগত হওয়াই পুণ্য এবং তঁহার বিধির বিরুদ্ধা5ांद्री श्९3वांझे পাপ । বাহিরে যতক্ষণ ঈশ্বরকে অন্বেষণ করা যায় ততক্ষণ তাহার সত্তার প্রকৃত পরিচয় প্ৰাপ্ত হওয়া যায় না ; এবং তঁহার সঙ্গে প্ৰকৃত যোগও স্থাপিত হয় না ! তিনি যতক্ষণ বাহিরে ততক্ষণ আমি হইতে দুরে। যে শাসন-শক্তি বাহির হইতে আসিয়া শাসন করে, তাহার ভিত্তি ভয়ের উপরে, ও তাহাতে বিধি পালনের দিকেই অধিক দৃষ্টি থাকে। এই কারণেই বোধ হয় যিহুদীদিগের মধ্যে বিধি পালনের ভাব এত প্ৰফুটিত হইয়া থাকিবে। সে যাহাই হউক, ঈশ্বরের মহিমা বোধ করিবার জন্য যেমন অগ্ৰে ভিতর হইতে বাহিরে যাত্রা হইয়াছিল, তাহার, স্বরূপ প্ৰকৃতভাবে লক্ষ্য করিবার জন্য আবার বাহির হইতে ভিতরে যাত্ৰা করিতে হয় ; আবার তাহাকে আত্ম-মন্দিরে অন্বেষণ করিতে হয় । ভারতীয় হিন্দুসাধকগণ তাঁহাকে আত্ম-মন্দিরে অন্বেষণ করিয়াছিলেন । এই আত্ম-কোষকেই তাহারা হিরন্ময় পরামকোষ বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন । হিরন্ময় পরামকোষ বলিবার অভিপ্ৰায় কি ? হিরণ্য বা সুবর্ণের দুইটী গুণ আছে। প্রথম, ইহা সামান্য মৃত্তিক হইতে বিভিন্ন, ইহা ধাতু ; দ্বিতীয়, ইহা দীপ্তিশালী । যে আত্ম-কোষে ব্ৰহ্ম বিরাজিত আছেন, তাহা সামান্য জড়ীয় কোষ নহে, তাহা আধ্যাত্মকোষ ;