পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S. 89 ' ধৰ্ম্মজীবন ৷ ‘ · ইহার শক্তি দুলঙ্ঘ্যি বিন্ন বাধা সকলের দ্বারা অভিভূত, ইহার প্ৰেম আসক্তির দ্বারা পরাজিত, কিন্তু এই সীমাবদ্ধ জীবের আর একটা দিক আছে, যেদিকে ইহা অনন্তের সহিত মিশ্রিত। ইহার জ্ঞান, ও প্রেম ও শক্তি অনন্ত-মুখীন। যেদিকে মানব অতএব ঋষিগণ যে বলিয়াছেন,- “এই সুন্দর বর্ণ বিশিষ্ট পক্ষী এক বৃক্ষকে আশ্রয় করিয়া রহিয়াছে। তাহা সত্য । এই দেহ-মন্দিরে জীব ও ব্ৰহ্ম অদ্ভুত ভাবে সম্মিলিত হইয়া রহিয়াছেন। তঁহাদের যোগ এত গাঢ় ও এত ঘনিষ্ঠ যে একজনকে পরিহার করিয়া অপরকে জানা যায় না । একজনকে জানা অপরের জানা সাপেক্ষ । এইরূপে যখন আত্ম-মন্দিরে পরমাত্মদর্শন হয়, তখন বিশ্বাস প্রকৃত ভূমির উপরে স্থাপিত হয়। তখন সেই বিশ্বাস অন্তরের “জীবনের উৎসরূপ নিহিত থাকিয়া সমগ্র জীবনকে অধিকার করিতে থাকে । * তখন আর শাসনশক্তি বাহির হইতে আসে না ; কিন্তু অন্তর হইতেই সমুখিত হয়। এই অবস্থাই ধৰ্ম্মজীবনের প্রকৃত অবস্থা । যে অবস্থাতে মানব আর সংশয়ের দ্বারা অ্যান্দোলিত হয় না, এ সেই অবস্থা । সাধনের প্রথমাবস্থাতে মানুষ রূপ-রস-গন্ধবিশিষ্ট পদার্থ সকলকেই সার ও সত্য বলিয়া প্ৰতীতি -করে, এবং তাঁহাদের মধ্যে নিমগ্ন হইয়া সারাৎসার ব্ৰহ্ম বস্তুকে অন্বেষণ করিতে থাকে, কিন্তু সাধনের পক্কাবস্থাতে সেই চিন্ময় সত্তাকেই সত্য বলিয়া দেখে, এবং রূপ-রস-গহ্মবিশিষ্ট পদার্থ সকলকে সেই