পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» es क्षन्जीवन। দিন যেরূপ যাতনাতে অতিবাহিত করিত, মানুষ অনেক সময় তদপেক্ষা অধিক যাতনাতে কাল কাটাইয়া থাকে । যাহারা দস্ত্ৰ্যতা বা নরহতা প্ৰভৃতি কোনও গুরুতর অপরাধে অপরাধী হইয়া রাজ দণ্ডের ভয়ে পলাতক হয়, তাহদের অনেকে অনেক সময় স্বতঃ প্ৰবৃত্ত হইয়া রাজপুরুষদিগের হস্তে আত্মসমর্পণ করিয়া থাকে ; কারণ অনুসন্ধান করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, যে তাহারা ছদ্মবেশে বিচরণ করিয়াও শান্তিলাভ করিতে পারে না ; সর্বদাই ধৃত হইবার আশঙ্কা শাণিত তর- ; বারের ন্যায় তাহদের মস্তকের উপরে ঝুলিতে থাকে ও তাহাদের মনের সকল শাস্তিকে হরণ করে। অবশেষে এই আশঙ্কা-জনিত উদ্বেগের অবস্থা এমনি অসহনীয় হইয়া উঠে যে, তদপেক্ষা কারাবাস বা ঘাতক-হস্তে বিনাশকেও স্পািহণীয় বলিয়া মনে হয়। অবশ্য অনুতাপের তীব্র যাতনাও অনেক সময়ে এরূপ আত্ম-সমর্পণের কারণ । মানব যে আপনার দুস্কৃতির জন্য অনুতাপ করিতে পারে। ইহাই মানবের বিশেষত্ব ও মহত্ত্ব ; এ যাতনা অন্য জীবের নাই। কিন্তু ধূত হইবার আশঙ্ক-জনিত ক্লেশ ও যে অনেকের পক্ষে অসহ্যু হইয়া থাকে তাহাতে আর সন্দেহ নাই । তৃতীয়তঃ, জীব যদি অনুভব করে যে এমন স্থানে গিয়া পড়িয়াছে যেখানে তাহাকে বিনাশ করিবার উপযোগী কারণ সকল বিদ্যমান। কিন্তু রক্ষা করিবার উপযোগী উপায় নাই, সে স্থানে জীবের বল বুদ্ধি উড়িয়া যায়। একটা অতি সামান্য দৃষ্টাস্তের দ্বারা এই উক্তির সত্যতা প্ৰমাণ করা যাইতে পারে।