পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 “खिोदक । যাহার স্মরণে ও চিন্তানে সুখ, তাহাই লোকে রক্ষা করিবার উপযুক্ত মনে করে এবং তাঁহাই সাহিত্যে বা ইতিহাসে নিবন্ধ করে। প্ৰাচীন বা অতীতের জ্ঞান বলিলে এই সকলকে বুঝায়। যদি এই গুলির সহিত পাপতাপ-সম্বলিত বর্তমানের তুলনা করা যায়, তাহা হইলে স্বভাবতঃই কি অতীতকে উৎকৃষ্টতর বোধ হইবে না ? অতএব সত্যযুগ। পশ্চাতে এ বিশ্বাসের একটা স্বাভাবিক কারণ আছে, তাহা না হইলে ইহা সকল ধৰ্ম্মের মধ্যে ফুটিত না । আমরা এই উভয় প্রকার ভাবে সন্ধিস্থলে দণ্ডায়মান হইয়াছি। প্রশ্ন এই, আমরা জগতকে কি ভাবে দর্শন করিব ? ইহা বিদেশ ও বিভুমি, নানা প্রকার আশঙ্কাতে আকুল, এবং সহায় ও রক্ষক-বিহীন এই ভাবে দেখিব ? কি, ইহা আমাদের নিজের স্থান, এখানে আমরা সুরক্ষিত, এবং এখানকার কৰ্ত্তা যিনি তিনি আমাদিগকে নিরাপদে রক্ষা করিতে সমর্থ -এই ভাবে দেখিবি ? এই প্রশ্ন মনে উঠিলেই প্রেমের আশ্চর্য শক্তির কথা স্মরণ হয়। প্রেম এমনি বস্তু, ইহা যাহাকে স্পর্শ করে, তাহার প্রকৃতিকে পরিবর্তিত করিয়া দেয়। যে এখন আপনাকে শ্মশানে পতিত বলিয়া ভাবিতেছে, অথবা কারার বন্দী বলিয়া অনুভব করিতেছে, একবার প্ৰেম পদার্পণ করুক, অমনি সে প্রমুক্ত বিহঙ্গমের ন্যায় স্বাধীনতা-সুখ অনুভব করিবে এবং সে স্থানকে নিজের স্থান বলিয়া ভাবিতে আরম্ভ করিবে । যে পক্ষী পিঞ্জরে আবদ্ধ হইবার সময় স্বাধীনতা লাভ করিবার জন্য