পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম কি ? ও ধাৰ্ম্মিক কে ? b জ্ঞান-ভাণ্ডার। বিধাতা যুগে যুগে যে সকল সত্য অভিব্যক্তি করিয়াছেন, তাহার অনেকগুলি ঐ গ্রন্থে সঞ্চিত আছে। কিন্তু এতদূর স্বীকার করিয়াও এটা বলিতে হয় যে কোন ধৰ্ম্মগ্রন্থ বিশেষের অনুগত হওয়া ধৰ্ম্ম নহে। লৌকিক আচার প্রভৃতি সম্বন্ধেও ঐ প্রকার। তাহারা প্ৰত্যেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ধৰ্ম্মজীবনের সহায় হইলেও কেহ ধৰ্ম্মের সমগ্ৰ স্থান অধিকার করিতে পারে না । ধৰ্ম্মxএরূপ কোনও আংশিক পদার্থ নহে। ধৰ্ম্ম কি ? তাহা যদি কেহ আমাকে সংক্ষেপে নির্দেশ করিতে বলেন, তাহা হইলে বলি, মানব প্রকৃতির যে ঈশ্বরাভিমুখীন উচ্ছায় তাহার নাম ধৰ্ম্ম। এই উচ্ছায় শব্দটীর ব্যাখ্যার প্রয়োজন। উচ্ছায় শব্দের অর্থ উন্নতি। ইহার একটী দৃষ্টান্ত দেওয়া যাইতে পারে। ভূতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ বলিয়া থাকেন, যে পৃথিবীর আভ্যন্তরীণ তাপের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠ উচ্ছিত হইয়া উঠিয়া পর্বত, অধিত্যক উপত্যক, গ্ৰাম জনপদ প্রভৃতি জীবের বাসোপযোগী জগৎ প্ৰকাশ পাইয়াছে। সেইরূপ যে ঈশ্বরানুরাগের প্রভাবে সমস্ত মানব প্রকৃতি সমুন্নত হইয় উঠে, জ্ঞান, শ্ৰীতি, ইচ্ছা! সকলি উন্নত হয়, তাহাই ধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্ম মানবজীবনের এক অঙ্গের বস্তু নহে, এক দিনের কাজ নহে। একজন দুই ঘণ্টাকাল কোনও বিশেষ স্থলে বন্ধ হইয়া কোনও বিশেষ নাম জপ করিল, সেইটুকু তাহার ধৰ্ম্ম হইল, তৎপরে বিষয় কাৰ্য্যে গেল, সে তাহার বিষয় কাৰ্য্য ; সেখানে ধৰ্ম্মের কিছু নাই এরূপ নহে ; বরং এই কথা বলিলেই প্ৰকৃত সত্য বলা হয়,