পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন । میوه ؟ যে সৰ্ব্বস্থানে ও সর্বাবস্থাতে, জ্ঞান, শ্ৰীতি ও ইচ্ছাযোগে ঈশ্বরের সহিত নিত্যযুক্ত থাকিতে পারাই ধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্মের এই মহৎ ও উদার ভাব ব্যক্ত করিবার জন্যই পূর্বোক্ত উপনিষদের বচন উদ্ধত করা গিয়াছে। এই বচনে ধাৰ্ম্মিকের দ্বিবিধ লক্ষণের উল্লেখ দৃষ্ট হইতেছে। প্রথম আধ্যাত্মিক ; দ্বিতীয় লৌকিক। আধ্যাত্মিক লক্ষণ এই, প্ৰকৃত ধাৰ্ম্মিকের আত্মা আত্মক্রীড় এবং আত্মরতি হয়। অর্থাৎ তিনি পরমাত্মাতে ক্রীড়া করেন ও পরমাত্মাতে রমণ করেন। পরমাত্মাতে ক্রীড়া করেন, এ কথার অর্থ কি ? মৎস্য যেমন জলে ক্রীড়া করে, অর্থাৎ জলকেই আপনার প্রকৃত বাসস্থান বলিয়া অনুভব করে, তেমনি প্ৰকৃত ৫ ধাৰ্ম্মিকের আত্মাও ঈশ্বরের শ্রবণ, মনন, নিদিধ্যাসনে আনন্দ লাভ করিয়া থাকে । ঈশ্বর সত্যস্বরূপ অতএব এরূপ আত্মা সত্যের চিন্তানে আনন্দ পায় ; ঈশ্বর ন্যায়স্বরূপ, সুতরাং ন্যায়ের আচরণে আনন্দ পায়, এবং প্রেম "পবিত্রতার অনুশীলনে আনন্দ পায়। এই হইল অন্তরের লক্ষণ । বাহিরের লক্ষণ দ্বিবিধ, সে রূপ ব্যক্তি ঈশ্বরকে অতিক্রম করিয়া কথা কহেন না । ঈশ্বরকে অতিক্ৰম করিয়া 'কথা কহার অর্থ কি ? অর্থ এই—তিনি এমন কথা কহেন না বা এমন কাজ করেন না, যাহা ঈশ্বরকে না ভুলিলে বলা বা করা যায় না। সংক্ষেপে বলিতে গেলে সে রূপ ব্যক্তির জীবনে ধৰ্ম্মভীরুতা স্বাভাবিক হয়। অধৰ্ম্মকে তিনি সর্বদ। বিষবৎ পরিত্যাগ করিয়া থাকেন। দ্বিতীয় লৌকিক লক্ষণ । তিনি