পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বর-লাতে নিপুণতা। SY “বিতরতি গুরুঃ প্রাজ্ঞে বিদ্যাং যথা তথৈব জড়ে, নতু খলু তয়ে জ্ঞানে শক্তিং করোত্যপহস্তি বা । ভবতি চ পুন ভুয়ান ভেদঃ ফলং প্রতি, তদ্যথা প্ৰভবতি শুচি বিম্বোদগ্ৰাহে মণি ন মৃদাং চিয়ঃ ৷” অর্থ-গুরু প্ৰাজ্ঞ এবং মন্দমতি উভয় ছাত্রকেই বিদ্যা বিতরণ করিয়া থাকেন, তিনি কাহাকেও বুদ্ধিবৃত্তি দেন না, বা কাহারও বুদ্ধিবৃত্তি হরণ করেন না ; অথচ ফলে মহৎ প্রভেদ লক্ষিত হয়, যেমন পরিশুদ্ধ মণিই বস্তু সকলের প্রতিবিম্বকে গ্ৰহণ করিতে পারে, মৃৎপিণ্ড তাহ পারে না ।” বাস্তবিক এই জ্ঞানের ধারণা-শক্তির তারতম্য আমরা প্ৰতিদিন লক্ষ্য করিতেছি । জ্ঞানের উপকরণ সামগ্ৰী সকলেরই নিকটে সর্বদা বিদ্যমান। জগতে যতই জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি, শিল্প-সাহিত্যের বিকাশ, বিষয় বাণিজ্যের বিস্তার, সম্পদ ঐশ্বৰ্য্যের শ্ৰীবৃদ্ধি ও সুখ সভ্যতার প্রসার হউক না কেন, তাহার এক কণিকাও মানুষ। আপনি সৃষ্টি করে নাই, বা স্বৰ্গ হইতে আনে নাই। যে সকল উপকরণ ও উপাদান লইয়া ঐ সমুদায়ের উন্নতি সাধিত হইয়াছে ও অদ্যাপি হইতেছে, তৎসমুদায় এই জগতে, তোমার আমার হাতের নিকট চিরদিন ছিল। ও চিরদিন রহিয়াছে। কলিকাতার ন্যায় একটা সহরে কত প্রাসাদ আছে একবার চিন্তা কর, এ সকল প্রাসাদে কত ইষ্টক, কত প্ৰস্তর, কত দ্বার গবাক্ষ, টেবল, চেয়ার প্রভৃতি কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত দ্রব্য, কত ধাতুজ দ্রব্য, আছে একবার মনে মনে গণনা কর, কত গৃহ কত পণ্য দ্রব্যে পূর্ণ একবার বিবেচনা কর, তৎপরে জগতে