পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ধৰ্ম্মজীবন । এরূপ কত সহর আছে তাহা স্মরণ কর, সমুদ্রবক্ষে ভিন্ন ভিন্ন জাতিদিগের কত শত সহস্র অর্ণবপোত ভাসিতেছে তাহ চিন্তা কর, এই সমগ্ৰ ছবিটা হৃদয়ে ধারণ করিবার চেষ্টা করিলে জগতের সভ্যতার শ্ৰীবৃদ্ধির কি অদ্ভুত ভাব হৃদয়ে উপস্থিত। হয় ! কিন্তু এই বিচিত্র ও অত্যাশ্চৰ্য্য শ্ৰীবৃদ্ধির মধ্যে এমন কোন দ্রব্য আছে, যাহা মানব সৃষ্টি করিয়াছে বা সুগ হইতে আনিয়াছে ? প্ৰান্তরের মৃত্তিকা, পর্বতের প্রস্তর, ব্ৰনের কাষ্ঠ, খনির ধাতু একত্র করিয়াই এই অদ্ভুত লীলা বিস্তার করিয়াছে এবং অদ্যাপি করিতেছে। তাই বলিতেছি, মানবের সর্ববিধ উন্নতির উপকরণ সামগ্রী সর্বদা আমাদের নিকটে বিদ্যমান । সক্রেটাস, বুদ্ধ, কংফুচ প্ৰভৃতি প্ৰাচীনকালে জ্ঞানিশ্রেষ্ঠ বলিয়া বিদিত হইয়াছিলেন, কিন্তু তাহারা যে সকল উপকরণ সামগ্রীর সাহায্যে সে জ্ঞান লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন,তাহা এখনও তোমার আমার নিকটে বিদ্যমান। সেইরূপ দিবারাত্রের পরিমাণ প্রাচীন ও আধুনিক, জ্ঞানী ও অজ্ঞ সকলেরই পক্ষে ২৪ ঘণ্টা ; কাহার পক্ষে নুনি বা কাহার পক্ষে অধিক নহে। একজন সেই সকল উপকরণ সামগ্রীর ও সেই চব্বিশ ঘণ্টার সমুচিত ব্যবহার করিয়া জ্ঞানী, পণ্ডিত, কৃতী ও যশস্বী হইতেছে, অপর একজন ঐ সকলের সমুচিত ব্যবহারের অভাবে, অজ্ঞ, মুর্থ ও অবজ্ঞার পাত্ৰ হইয়া পড়িয়া থাকিতেছে । বর্তমান সভ্য জগতের জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি যতই বিস্ময়জনক হউক না কেন, তাহার এক অক্ষরও ঈশ্বর-প্রদত্ত দুই মহাগ্ৰন্থকে অতিক্ৰম করিয়া যায় নাই। সে দুই মহাগ্ৰস্থ এই জগৎ ও মানব-প্ৰকৃতি । এই দুই