পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

è a 8 ধৰ্ম্মজীবন । পরের কথা মুখস্থ করিয়াছে ও পরের কথাই চিরদিন বলিতেছে জ্ঞানের বা সত্যের সাক্ষাৎকার লাভ করে নাই, তেমনি • ধৰ্ম্মরাজ্যেও এক শ্রেণীর পণ্ডিত-মুখ আছে, যাহারা অনেক গুরুর সেবা করিয়াছে, অনেক ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ পড়িয়াছে, অনেক কথা বলিতে পারে, কিন্তু বিমল সত্যের সাক্ষাৎকার লাভ করে নাই । যেমন জগৎ ও মানব প্ৰকৃতির নিকটে সাক্ষাৎভাবে উপনীত করিবার জন্যই গ্রন্থের রচনা ও গ্রন্থকারদিগের প্রয়াস, তেমনি ঈশ্বর-চরণে মানবকে সাক্ষাৎভাবে উপনীত করিবার জন্যই ধৰ্ম্মশাস্ত্রের সৃষ্টি ও সাধু মহাত্মাদের উপদেশ। কিন্তু অনেক পণ্ডিত-মুখ ব্যক্তি চিরদিন ঐ সকল আদেশ ও উপদেশের মধ্যে বদ্ধ হইয়া থাকে, চিরদিন পরের অভিজ্ঞতার কথা বলিতে থাকে, চিন্তাবিহীন হইয়া নির্দিষ্ট নিয়মের অনুসরণ করে, ঈশ্বর-চরণে আর সাক্ষাৎভাবে উপনীত হয় না । ইহ দেখিয়াই ঋষিগণ বলিয়াছেন, “ঈশ্বরের প্রকৃত জ্ঞাত দুর্লভ এবং নিপুণ ব্যক্তি ভিন্ন অপরে তঁহাকে লাভ করিতে পারে না।” এই নিপুণতার প্রকৃতি কি ? কি সেই বিশেষ সদগুণ, যাহ থাকিলে মানুষ তঁহাকে লাভ করিতে সমর্থ হয় ? বিদ্যাৰ্থদিগের মধ্যে কোন বিশেষ নিপুণতা থাকাতে একজন বিদ্বান ও কৃতী হইয়া উঠে, এবং যাহার অভাবে অপর ব্যক্তি তাহার সহাধ্যায়ী হইয়াও অজ্ঞ ও অক্ষম হইয়া পশ্চাতে পড়িয়া থাকে ? সাধারণ ভাবে এই বলা যায় এক ব্যক্তি এমন একটু বিদ্যার রসাস্বাদন করিয়াছিল, যাহাতে তাহার চিত্ত সর্বদাই বিদ্যালাভের জন্য লালায়িত ছিল । সে ব্যক্তি সর্বাবস্থাতে