পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ar ao क्षख्ौिदन। গঙ্গা যেখানে আসিয়া সাগরসঙ্গমে মিলিত হইয়াছে, সেখানে সমুদ্র মধ্যে কিয়দপুরে যেমন লোকে এক একটী বয়া দিয়া রাখিয়াছে, বয়াগুলি বিপথগামী নৌকা সকলকে বলিতেছে যে তৎপরেই অতল, আর অগ্রসর হইও না, তেমনি ধৰ্ম্মরাজ্যের যাত্রীদিগের পথের পার্শ্বে ঋষিগণ তিনি সহস্ৰ বৎসর পূর্বে চিহ্র-ফলকে লিখিয়া দিয়া গিয়াছেন,-“সাবধান! বিপথে পদার্পণ করিও না, যাইবার অন্য পথ নাই মুক্তি-প্রার্থী হও এই একমাত্র পথ অবলম্বন করিয়া যাও ।” আমরা যেন অতীতের তিন সহস্ৰ বৎসর পূর্ব হইতে ঋষিদিগের মহাবাক্যের প্রতিধ্বনি শুনিতে পাইতেছি, “হে মানব ! এই পূর্ণ পরাৎপর পরম পুরুষকে জানা ও লাভ করা ভিন্ন অন্য গতি নাই ; যাইবার অন্য পথ আর নাই ।” তাহাকে লাভ করা ভিন্ন অন্য গতি নাই, এই মহোপদেশ আমার নানা প্ৰকার অর্থে গ্ৰহণ করিতে পারি। প্ৰথম কেহ কেহ বলেন যিনি ইন্দ্ৰিয়াতীত, যিনি অনন্ত, তাহাকে মানুষ কি প্রকারে ধারণ করিবে ? তাহাকে কিয়ৎ পরিমানে ক্ষুদ্র করিয়া আমাদের ক্ষুদ্ৰ বুদ্ধির উপযোগী কয়িয়া না লইলে কি আমরা তাহাকে গ্ৰহণ করিতে পারি ? এই প্ৰকার ভাব হইতেই অরতারবাদ, সাকারোপাসনা ও গুরুবাদ প্ৰভৃতির সৃষ্টি হইয়াছে। অবতারবাদী বলেন, ভক্ত-বৎসল। ভগবান মানুষকে দুর্বল ও অসমর্থ জানিয়া, কৃপাপরবশ হইয়া, মানুষকে দেখা দিবার জন্য ও মানুষের সহিত লীলা করিবার জন্য মনুষ্যরূপ ধারণ করিয়াছিলেন, মানবকুলে, জন্মগ্রহণ করিয়া