পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sly ধৰ্ম্মজীবন । তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত কর, তাহাতে তাহার কোনও সাস্তুনা হয় না। তিনি বৃন্দাবনে বা জুডিয়া প্রদেশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, এ সংবাদে আর লাভ কি ? আমি যে প্ৰতি মুহুর্তে তঁহাকে চাই, তাহার আদেশ চাই, তঁহার আশ্বাসবাণী চাই। যদি কোনও পল্লীগ্রামের লোক কলিকাতাতে আসিয়া শুনিয়া যায়, আলিপুরের বাগানে সিংহ আছে, তাহা হইলে কি তাহার সিংহ দেখা হয় ? সেইরূপ তিনি দেশবিশেষে বা কাল বিশেষে মানবকুলে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, ইহা শুনিলে কি আমার ঈশ্বর-দর্শন হয় ? ঋষিগণ বলিতেছেন। তিনি সর্বান্তৰ্যামীরূপে প্ৰতি মুহুর্তে হৃদয়ে বাস করিতেছেন, সেই ভাবেই তাহাকে জানিতে ও লাভ করিতে হইবে, তদ্ভিন্ন অন্য *iथ भांछे । এইরূপ সাকারবাদী ও গুরুবাদীরাও বলিয়া থাকেন, সেই ইন্দ্ৰিয়াতীত পরম সত্তাকে কোনও দৃশ্যাধারে ও কেন্দ্রবিশেষে সন্নিহিত না দেখিলে তাহার ধারণা হইতে পারে না । এখানে অপরাপর আপত্তির মধ্যে পূর্বোক্ত প্রধান আপত্তি। আমি যাঁহাকে নিকটে চাই, প্ৰাণে চাই, ও প্রতিমুহুর্তে চাই এই সকল মতে র্তাহাকে দূরে ফেলিয়া দিতেছে; তঁহাকে দেখিবার জন্য অন্তরে দৃষ্টিকে প্রেরণ না করিয়া সেই দৃষ্টিকে বাহিরে প্রেরণ করিতেছে ; বলিতেছে তোমার উপাস্য দেবতা তোমার ভিতরে নয়, ঐ বাহিরে; সুতরাং এ সমুদায় মত মানবের মুক্তির সহায়তা না করিয়া বরং সে পথে অন্তরায় স্বরূপ হয়। এই জন্য ঋষির বলিলেন,-নান্যঃ পন্থা বিদ্যতে হয়নায়।