পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসক্তি । “ধ্যায়তো বিষয়ান পুংসঃ সঙ্গস্তেষুপজায়তে।” “অর্থাৎ নিরন্তর বিষয়ের ধ্যান করিতে করিতে মানুষের তাহাতে আসক্তি জন্মে ।” যতদিন মানুষ স্বীয় চরিত্র ও কাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিতে শিখিয়াছে, ততদিন একটা গুরুতর প্রশ্ন তাহার মনে জাগিতেছে। সে প্রশ্নটী এই ঃ—দুঃখ ও পাপ কি বস্তু ? এবং তাঁহাদের উৎপত্তি হইল কিরূপে ? এ প্রশ্ন প্রাচীন কালেও চিন্তাশীল ব্যক্তিদিগের মনে উদিত হইয়াছে, বর্তমানকালেও মানবচিত্তকে আন্দোলিত করিতেছে । জগতের সুখ দুঃখ সম্বন্ধে লোকে সচরাচর যে প্রকার বিচার করে তন্মধ্যে অনেক ভ্ৰম প্ৰমাদ আছে, তাহা আমরা জানি । প্ৰথমতঃ সুখ ও দুঃখ দুইটী আপেক্ষিক শব্দ। যাহা একজনের পক্ষে সুখ তাহা অপরের পক্ষে দুঃখ । একজন বিজ্ঞানের চৰ্চা বা কাব্যের আলোচনাতে সমস্ত দিন যাপন করে, আহার বিহারের দিকে তাহার দৃষ্টি নাই, পার্থিব ধন সম্পদ সঞ্চয় করিবার দিকে মনোযোগ নাই; আর এক ব্যক্তি পার্থিব ধন সম্পদের সুখ অপেক্ষা উচ্চ সুখ জানে না, ইন্দ্ৰিয়বৃত্তির চরিতার্থতা ভিন্ন তাহার অন্য লক্ষ্য নাই ; এই উভয়ে কত। প্ৰভেদ । এক জন অপর জনকে দুঃখী ও কৃপাপাত্ৰ বলিয়া মনে করে । দ্বিতীয়তঃ, এক সময়ে আমরা যাহাকে দুঃখের কারণ মনে করি, অপর সময়ে দেখি, তাহাঁই আবার কল্যাণ ও সুখের