পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2) O ধৰ্ম্মজীবন । “মহামূল্য মুক্তা” নামে যে দৃষ্টান্তটীর উল্লেখ আছে, তাহা অনেকেরই বিদিত । তথাপি আর একবার তাহার উল্লেখ করা যাইতেছে। সে দৃষ্টান্তটী এইচ-একজন বণিক মুক্তার ব্যবসায় করিত, মনে কর সে একবার পারস্য সাগরের উপকূলবাসী ধীবরদিগের পাড়াতে ভাল মুক্ত আছে কি না দেখিতে গেল । পরীক্ষা করিতে করিতে সে একজন ধীবরের নিকটে অতি চমৎকার একটা মুক্ত দেখিতে পাইল। কিন্তু ধীবর সে মুক্তার এত দাম বলিল যে, সে ব্যক্তির যথাসৰ্ব্বস্ব বিক্রয় না। করিলে সে মুল্য উঠে না। অথচ সে মুক্ত এমনি উৎকৃষ্ট যে, যথাসৰ্ব্বস্ব দিয়া ক্রয় করিলেও শাস্তা পাওয়া গেল মনে করিতে হয়। বণিক মনে করিল, গেলাইবা আমার যথাসর্বস্ব, এ মুক্ত একবার বাজারে বাহির করিলে, আমি তিন দিনের মধ্যে ধনী হইয়া যাইব । এই ভাবিয়া সে ধীবরকে বলিল, এ মুক্ত - তুমি কাহাকেও বিক্রয় করিও না, আমি বায়না করিয়া যাইতেছি, কয়েক দিন পরে আসিয়া দাম দিয়া লইয়া যাইব । এই বলিয়া বণিক গৃহে ফিরিয়া আসিয়া কয়েক দিনের মধ্যে আপনার যথাসর্বস্ব বিক্রয় করিয়া ফেলিল, এবং সেই অর্থ লইয়া মুক্তা আনিতে গেল। যীশু বলিলেন, তাহার প্রচারিত ধৰ্ম্ম এই মহামূল্য মুক্তার ন্যায়। ঋষিরা যাহা সংক্ষেপে নির্দেশ করিায়াছেন, যীশু তাহা বিস্তৃতরূপে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, এইমাত্র 2Ng পূৰ্বোক্ত দৃষ্টান্তে আমরা দেখিতেছি, যে যাহাকে সম্পদ বলিয়া মনে করে, তাহা লাভ করিবার জন্য তাহার চিত্তের