পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এষাস্থ্য পরম সম্পৎ । কেমন একাগ্রত হয়। সংসারে প্রতিনিয়ত দেখিতেছি যে | যাহাকে সম্পদ বলিয়া মনে করে, সে তাহা লাভ করিবার জন্য প্ৰয়াস পাইতেছে। নিরস্তর সে জন্য কি প্রকার ক্লেশ ভোগ করিতেছে। জগতের প্রতি একবার চিন্তাপূৰ্ণ নয়নে দৃষ্টিপাত কর, দেখ সম্পদ লাভের জন্য মানবকুলের মধ্যে কিরূপ ব্যগ্ৰতা। যে বস্তুর দ্বারা যাহার সম্পদ লাভের আশা, সে বস্তু সংগ্ৰহ করিবার জন্য তাহার কি রূপ আগ্ৰহ! ভুবুরিরা মুক্তার লোভে অতল জলে নিমগ্ন হইতেছে, খনি-খননকারিগণ অন্ধকার খনিগর্ভে প্ৰাণের আশা পরিত্যাগ করিয়া প্ৰবেশ করিতেছে, বণিকগণ পণ্য দ্রব্য লইয়া প্ৰচণ্ড বাত্যা ও ভীষণ সাগর-তরঙ্গ অতিক্রম করিয়া দিকদিগন্তে ধাবিত হইতেছে, এইরূপ সর্ব বিভাগেই মানুষ দলে দলে জীবিকার জন্য জীবন হারাইতেছে। কি আগ্ৰহ! কি ব্যগ্ৰতা ! কি অবিশ্রান্ত পরিশ্রম ! কি প্রবল অভিনিবেশ !, সেই পরাৎপর পরম পুরুষকে যাহারা পরম সম্পদ বলিয়া অনুভব করেন, তাহারাও এই প্ৰকার একাগ্রতার সহিত তাহকে অন্বেষণ করিয়া থাকেন । ইহ। মানব মনের কল্পনা নহে ; কিম্ব কবির কবিত্ব নহে। জগতের ইতিবৃত্তে ইহার ভুরি ভুরি প্রমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যাইতেছে। প্রাচীন কালেরও বর্তমান কালের ব্ৰহ্মপরায়ণ সাধকগণ অনেকেই এরূপ আগ্রহ ও একাগ্রতার সহিত পরব্ৰহ্মকে অন্বেষণ করিয়াছেন । দ্বিতীয়তঃ, মানুষ যাহাকে সম্পদ বলিয়া বিবেচনা করে, তাহা লাভ করিবার জন্যই যে কেবল প্ৰয়াসী হয় তাহী নহে,