পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এষাসুস্য পরম সম্পাৎ । রাজপুত্রের গৌরব সে অনুভব করিতে পরিবে না। দরিদ্রের ন্যায় ভীত উদ্বিগ্ন ও সংকুচিত চিত্তে বাস করিবে । পূর্বোক্ত দৃষ্টান্ত হইতে আমরা একটী মহোপদেশ লাভ করিতে পারি। ঈশ্বরের করুণা তোমার আমার সকলের জন্যই বহিয়াছে। আমরা সকলেই সে সম্পদের অধিকারী । কিন্তু আমরা যদি সে করুণা দেখিতে না পাই, যদি তাহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিতে না পারি, তবে তাহা আমাদের পক্ষে থাকিয়াও নাই। আমরা যে বিশ্বাস দ্বারা তাহার কোন স্বরূপকে গঠন করিব বা বৰ্দ্ধিত করিব তাহা নহে, নিজেরা বল পাইব, জীবন পাইব এই মাত্ৰ । পঞ্চমতঃ যে সম্পদের অধিকারী, সে লোকের কথা ও সমালোচনার দ্বারা আপনার শক্তির বিচার করে না, কিন্তু আপনার সম্পদের দ্বারাই আপনার শক্তির বিচার করে। সহরের ধনিদের ধন সম্পদের বিষয়ে আমরা প্ৰতিদিন কতই মতামত কতই সমালোচনা শুনিতে পাই। কেহ বলেন, অমুক বাবুর দুই লাক টাকার আয়, কেহ বলে না। এত হবে না, তাহা হইলে আবার ঋণ করিবে কেন ? এইরূপ বাহিরের লোকে ঘরের কথা না জানিয়া কাহাকেও বাড়াইতেছে, কাহাকেও বা কমাইতেছে, কাহাকে বা ধনিদের অগ্রগণ্য করিতেছে, আবার কাহাকে বা দরিদ্রের অধম করিতেছে ; কিন্তু সে সকল সমালোচনা দ্বারা কোনও চতুর ধনী প্ৰতারিত হন না। লোকে না জানিয়া বড় করিয়া তুলিলে তিনি আপনাকে বড় ভাবেন না, কিম্বা লোকে দরিদ্র বলিলে তিনি দারিদ্র্য দুঃখ ভোগ করেন