পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মের নিবাস ভূমি। Ro 9 অবস্থা যাহাতে আরোহণ করিলে আত্মা স্বাধীনতা, পবিত্রতা, প্রেম ও আনন্দে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া ঈশ্বরচরণে বিহার করিতে থাকে । ধৰ্ম্ম সঞ্চয় করিতে হয় না, পরকালের খাতাতে জমার ঘরে লিখিতে হয় না, কিন্তু ধৰ্ম্ম হইতে হয়। প্ৰকৃত প্রেমিক ও ভক্ত ধাৰ্ম্মিকের পক্ষে ধৰ্ম্ম শিশুর স্কন্ধে আরোপিত প্রৌঢ়ের পোষাকের মত নহে, কিন্তু নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ন্যায় স্বাভাবিক । ইহা তাহদের উৎখান ও শয়নে, আশনে বসনে প্ৰকাশ পায় । জগতের ধৰ্ম্মপ্ৰবৰ্ত্তক মহাত্মাগণ ধৰ্ম্মের এই স্বাভাবিকতার নিদর্শন স্বরূপ। বুদ্ধ, যীশু মহম্মদ সকলেরই জীবনে দেখিতে পাই যে ধৰ্ম্ম তাহদের জীবনে স্বাভাবিক ভাবেই বাস করিায়াছে ! মহাত্মা বুদ্ধের জীবনে ইহার অত্যাশ্চৰ্য্য প্রমাণ প্রাপ্তহওয়া যায়। তিনি ছয় বৎসর কাল অতি কঠোর তপস্যা করিয়াছিলেন বটে। কিন্তু যখনি মনে করিলেন যে সত্যালোক প্রাপ্ত হইয়াছেন, তখনি পূর্বকার কঠোর তপস্যার অনাবশ্যকতা ও অকিঞ্চিৎকরত। অনুভব করিলেন, এবং ধৰ্ম্ম সাধনের জন্য মধ্য পৎই অবলম্বনীয় বলিয়া উপদেশ দিতে লাগিলেন। মহাত্মা যীশু ও পরিষ্কার রূপেই বলিতেন যে তাহার ধৰ্ম্ম কৃচ্ছ সাধনের ধৰ্ম্ম নহে। তিনি বলিতেন,-“জন উপবাস ও কৃচ্ছসাধনের উপদেশ দিতেন, আমি নিয়মিত আহার বিহারের উপদেশ দিয়া থাকি ।” মহম্মদেরও ধৰ্ম্মভাব অতিশয় স্বাভাবিক ছিল । তিনি সাধনাবস্থাতে হরা পৰ্ব্বতের গুহাতে অনেক দিন নির্জন চিন্তাতে ও কঠোর তপস্যাতে যাপন করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু যখনি সিদ্ধিলাভ করিলেন, তখনি তঁহার ধৰ্ম্ম নিঃশ্বাস প্ৰশ্বাসের