পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানব-জীবনে সুখ দুঃখ । 2ðV) কেন্দ্ৰৗপসারিণী শক্তি । কেন্দ্ৰাভিসারিণী শক্তি প্ৰত্যেক পরমাণুকে কেন্দ্রের দিকে লইয়া যাইতে চাহিতেছে, কিন্তু কেন্দ্ৰাপসারিণী শক্তি প্ৰত্যেক পরমাণুকে প্রতি মুহুর্তে কেন্দ্ৰ হইতে দূরে লইয়া যাইতেছে। কেহ বলিতে পারেন, বিধাতার একি কৌতুক করা যে তিনি একই বস্তুর উপরে একই সময়ে দুই প্রকার শক্তি প্রয়োগ করিলেন ? তদুত্তরে বিজ্ঞানবিৎ বলিবেন, তদ্ভিন্ন এই পৃথিবী এমন সুন্দর গোলাকৃতি ধারণ করিত না । এইরূপ মানব-সমাজের গতিবিধি লক্ষা করিয়া ও মানব-হৃদয়ে নিমগ্ন হইয়া দেখ, একই মানবহৃদয়ে একই সময়ে ক্ৰোধ ঈর্ষ্যা প্রভৃতি স্বাৰ্থরক্ষিণী ও প্ৰেম দয়া প্ৰভৃতি পরার্থ-রক্ষিণী বৃত্তি সকল কাৰ্য্য করিতেছে। যদি বল এমন কেন হইল, তদুত্তরে বক্তব্য, এরূপ না হইলে, জনসমাজের উন্নতি সম্ভব হইত না । পরার্থ-রক্ষিণী বৃত্তির অভাবে মানবগণ পরম্পর হইতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হইয়া বন্য শ্বাপদকূলের অবস্থাতে থাকিত, আবার স্বাৰ্থরক্ষিণী বৃত্তিনিচয়ের সম্পূর্ণ অভাব হইলে প্ৰত্যেক মানব আত্মরক্ষাতে অসমর্থ হইয়া ঘোর সামাজিক দাসত্বে পরিণত হইত । সেইরূপ আমরা বলিতে পারি, মানবকে বিকশিত, বদ্ধিত, সবল ও কাৰ্যক্ষমা করিবার জন্য সুখ দুঃখ উভয়েরই প্রয়োজন । দুঃখের তাড়ন না থাকিলে জীব-জগতে বর্তমান উন্নতি ও বিকাশের কিছুই লক্ষিত হইত না। বাঘে না তাড়িলে হরিণের পদদ্বয় দীর্ঘ ও ধাবনক্ষম হইত না । । কেহ হয়ত বলিবেন যে সকল বিষয়ে মানুষের কোনও হাত নাই, সে সম্বন্ধে মোটামুটি ঈশ্বরাভিপ্ৰায় যেন একপ্রকার বুঝা