পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>,WV ধৰ্ম্মজীবন । ফিরিয়া আসিল-পূর্ণ মঙ্গলময় বিধাতা কেন তাহার সৃষ্টিরাজ্যে দুঃখ থাকিতে দিতেছেন ? এই কারণে এতদ্দেশে জ্ঞানের কিঞ্চিৎ উন্নতি হইলেই, পণ্ডিতগণ এই পৌরাণিক মত পরিত্যাগ করিয়া আর একটী মত অবলম্বন করিলেন । সে মতটী এই ঃ-সৃষ্টিকৰ্ত্তা এক এবং মঙ্গলময় ; দুঃখ মানবের কৰ্ম্মবিপাকজনিত ; তাহা পূৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্মের ফল । দুঃখ কৰ্ম্মবিপাকজনিত হইলেও তাহার উৎপত্তির প্রণালী ও প্রকার কি ? এই চিন্তাতে রত হইয়া এদেশের জ্ঞানীরা বলিলেন, আসক্তি হইতেই সকল দুঃখের উৎপত্তি । ভগবদগীতাতে এই মত অতি সুন্দরীরূপে নির্দিষ্ট হইয়াছে :- “ধ্যায়তো বিষয়ান পুংসঃ সঙ্গস্তেষুপজায়তে, সঙ্গাৎ সঞ্জয়াতে কামঃ কামাৎ ক্রোধাভিজায়তে, ক্ৰোধাদ্ভবতি সংমোহঃ সংমোহাৎ স্মৃতিবিভ্ৰমঃ, স্মৃতিভ্ৰংশাদ্ধবুদ্ধিনাশঃ বুদ্ধিনাশাৎ প্ৰণশ্যতি।” অর্থ-নিরন্তর বিষয়ের ধ্যান করিতে করিতে মানুষের তাহাতে আসক্তি উপস্থিত হয় ; আসক্তি হইতে কামনার জন্ম হয় ; কামনা হইতে ক্রোধের উৎপত্তি হয় ; চিত্ত ক্রোধের দ্বারা উত্তেজিত হইলেই, কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্যবিমুঢ়তা আসে ; কৰ্ত্তব্যবিমুঢ়তা আসিলে মানুষের ( লক্ষ্যের ) স্মৃতি বিলুপ্ত হয় ; স্মৃতি বিলোপ হইলেই সে ব্যক্তি একেবারে বিনষ্ট হয়।” কিরূপে যে মানুষ বিনাশের পথে অগ্রসর হয়, তাহার। ক্রমট এই বচনে কেমন সুন্দয়ারূপে নিৰ্ণীত হইয়াছে ! যাহা