পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

uairisít.gi (tir 's alair | 象之令 কিছু চাহিবে না। অতএব দেখিতেছি যে, মানবের জ্ঞানের আকাঙক্ষা অসীম ও অনন্ত-মুখীন। কেবল জ্ঞানের আকাঙক্ষা নহে মানব-প্ৰকৃতিকে পরীক্ষা করিয়া দেখিলে দেখিতে পাওয়া যাইবে, প্ৰেম, পুণ্য প্রভৃতির আকাঙক্ষাও এইরূপ অসীম ও অনন্ত-মুখীন। মানবাত্মাতে এই এক আশ্চৰ্য্য দ্বিত্বভাব। একজন প্ৰতিমুহুর্তে বিষয় সকল ভোগ করিতেছে আর একজন কে যেন হৃদয়ে থাকিয়া বলিতেছে, ‘অনন্ত উন্নতি তোমার জন্য আছে, অগ্রসর হও, অগ্রসর হও !” মানবাত্মার এই অতৃপ্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া অনেক চিন্তাশীল সাধক বলিয়াছেন যে, ইহা পরমাত্ম-সত্তার একটা প্ৰমাণ-স্বরূপ। মানব এ সংসারে একাকী বাস করিতেছে না, ; তাহার হৃদয়মধ্যে আর একজন সন্নিবিষ্ট হইয়া রহিয়াছেন। কোনও কোনও সাধক এই অতৃপ্তির আরও অন্তরালে প্ৰবেশ করিয়া আরও একটা তত্ত্ব আবিষ্কার করিয়াছেন। তঁহারা বলিয়াছেন, এই অতৃপ্তি যে কেবল অজ্ঞাত ভবিষ্যতের দিকে আমাদের দৃষ্টিকে প্রেরণ করিতেছে, তাহা নহে, কিন্তু সেই ভবিষ্যতকে আশার সুন্দর বর্ণে চিত্ৰিত করিয়া দেখাইতেছে। এই আশাই মানব-প্রকৃতির গভীর রহস্য । সর্বত্রই এই নিয়ম দেখিতে পাই, অতীত ও বর্তমান দেখিয়া আমরা ভবিষ্যদের বিচার করিয়া থাকি। তোমার প্রতি কোনও কাৰ্যের ভার দিয়া যদি দশবার দেখি যে, তুমি নিজের দায়িত্ব বুঝিয়া কাৰ্য্য কর না, তবে আর তোমার প্রতি নির্ভর করিতে পারি না। এক ব্যক্তি যদি কথা দিয়া দশবার সে কথা ভঙ্গ করে, তবে তাহার