পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাধারে দেব ও মানব । & Rive) পতিত হইয়াও কেন উঠিয়া দাড়াইবার সম্ভাবনা দেখি ? বৰ্ত্তমান সময়ের একজন ঋষি বলিয়াছেন, ইহাতেই প্ৰমাণ, পরমাত্মা আমাদের আত্মাতে সন্নিবিষ্ট হইয়া আছেন। এই আশার বাণী তাহারই । তিনি হৃদয়কে প্রেরণা করিয়া বলিতেছেন- নিরাশ হুইও না ; ভগ্নোদ্যম হাইও না ; সত্য, প্ৰেম ও পুণ্যে সর্বদা আশান্বিত থােক ; চরমে এ সকলের ‘জয় হইবেই হইবে।” ঈশ্বর মানব-হৃদয়ে বাস করিতেছেন বলিয়া মানুষ সত্যেতে ও সাধুতাতে বিশ্বাস রাখিতেছে। এই বিশ্বাস এমনি স্বাভাবিক যে মানুষ হাজার দুঃখের চক্ষে জগতকে ও মানব- সমাজকে দেখিলেও এ বিশ্বাস তাহদের হৃদয়কে পরিত্যাগ করে না । ভাবিলে আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতে হয়, যে সকল সাধক জনসমাজকে কুৎসিত ও ধৰ্ম্মের বিরোধী এবং মানব-প্ৰকৃতিকে পাপ-প্ৰবণ জানিয়া এ সকলকে পরিত্যাগ করিয়া বনে গিয়াছেন, তাহারাও বনে বসিয়া শাস্ত্র রচনা করিয়াছেন। তাহার মূলে প্রবেশ করিলে কি দেখিতে পাই ? মানবকে সত্য দিলে সে গ্ৰহণ করিবে এ বিশ্বাস যদি না থাকিত, তাহা হইলে কি ঐ সকল শাস্ত্ৰকৰ্ত্ত শাস্ত্ৰ-রচনার ক্লেশ স্বীকার করিতেন ? তবে মানব-হৃদয় স্বভাবতঃ এরূপ বিকৃত নয় যে সত্যালোক তাহার দ্বারে উপস্থিত হইলে প্রবেশ করিবার অবসর পাইবে না । অথবা সত্যের ও ধৰ্ম্মের শক্তিতে মানবের এমনি স্বাভাবিক বিশ্বাস যে, মানব-বিদ্বেষের কঠিন চাপেও তাহাকে চাপিয়া রাখিতে পারে না । বিশ্বাসের চক্ষে দেখ এই অবিনশ্বর ও দুৰ্দমনীয় বিশ্বাস ও আশার মধ্যে বিধাতা