পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Kțęs „CK ve Tafak RR যাউক । তাহার কতটার উপরে মানবের হাত আছে ? আমরা সকলেই বৰ্ত্তমান সভ্য জগতের সুখ সমৃদ্ধির কথা উল্লেখ করিয়া বিস্ময় প্ৰকাশ করিয়া থাকি । বাস্তবিক তাহা যে বিস্ময়কর ব্যাপার তাহাতে আর সন্দেহ নাই । আদিম বর্বর অবস্থাতে মানুষ যখন নগ্নদেহে বনে বনে ভ্ৰমণ করিত, আম মাংস ভোজন করিত, তরুকোটরে বা গিরিগুহাতে বাসস্থান নিরূপণ করিয়া শীতাতপে আপনাদিগকে রক্ষা করিত, প্রস্তরের দ্বারা অস্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিত, ভুমিকৰ্ষণ বা বীজপবন করিতে জনিত না, সেই অবস্থার সহিত সভ্যজাতিদিগের বর্তমান অবস্থার তুলনা করিলে কি বিস্ময়কর ব্যাপারই আমাদিগের সমক্ষে উপস্থিত হয় ! মানব জাতির এই অদ্ভুত শ্ৰীবৃদ্ধির বিষয় একবার চিন্তা কর, সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন দেশে যে সকল রাজধানীর ও মহানগরের অভু্যুদয় হইয়াছে, তাহা একবার চিন্তা কর, সেই সকল মহানগরে যে সকল ধনরাশি সঞ্চিত হইয়া রহিয়াছে, তাহা একবার কল্পনা কর, নানাদেশে যে লক্ষ লক্ষ কল কারখানা নিরস্তর চলিতেছে, ও রাশি রাশি পণ্য দ্রব্য উৎপন্ন করিতেছে তাহা একবার স্মরণ কর, সমুদ্র বক্ষে যে সকল অর্ণবতরি ঐ সকল পণ্য দ্রব্য লইয়া যাতায়াত করিতেছে তাহা চিন্তা কর, যে সকল বাস্পপীয় যান নিরন্তর পণ্য দ্রব্য বহন করিতেছে তাহা একবার মনে কর, ভাবিতে ভাবিতে কি অদ্ভুত ও বিস্ময়জনক ছবি চক্ষের সমক্ষে উপস্থিত হয় ! কিন্তু এই সম্পদ ঐশ্বৰ্য্যের মধ্যে এমন কি আছে, যাহা মানব সৃষ্টি করিয়াছে ? এ কথা কি সত্য নহে, মানব এক পরমাণুও স্বষ্টি