পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

398 • ধৰ্ম্মজীবন। ঈশ্বরের ইচ্ছা দ্বারা সর্বদা শাসিত, তাহাতে প্ৰবেশ করাই স্বৰ্গরাজ্যে আরোহণ করা ; অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করিয়া বা বন্ধন-মুক্ত হইয়া ঈশ্বরের ধৰ্ম্মনিয়মের অধীন হওয়া। তবে দেখ, উভয় উপদেশের তাৎপৰ্য্য একই । ইহা আমাদিগকে সর্বদা স্মরণ রাখিতে হইবে যে ধৰ্ম্ম সাধনের মুখ্য উদ্দেশ্য এই অমৃতত্ব লাভ বা স্বৰ্গরাজ্যে আরোহণ । অন্য কোনও প্রকার নিকৃষ্ট ভাবে ধৰ্ম্মের সেবা করিতে নাই। একথা বলিবার কারণ এই, আমরা প্ৰতিদিন মানব-সমাজে দেখিতেছি যে, মানব নানা প্ৰকার নিকৃষ্ট ভাবে ধৰ্ম্মের সেবা করিতেছে । যত লোক বাহিরে ধৰ্ম্মের আশ্রয়ে বাস করিতেছে, ও কোন না কোনও প্রকার ধৰ্ম্ম সাধনে নিযুক্ত রহিয়াছে, তাহারা সকলে যদি বিমল-হৃদয়ে ধৰ্ম্মের সেবা করিত, তাহা হইলে ভাবনা কি ছিল ! কিন্তু তাহারা সকলে বিমল ভাবে ধৰ্ম্মের সেবা করে না । চিন্তা করিলেই আমরা দেখিতে পাইব, জগতের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যেই এমন এক শ্রেণীর লোক রহিয়াছে, ধৰ্ম্মের সহিত যাহাঁদের স্বার্থের যোগ হইয়া গিয়াছে ; ধৰ্ম্মের বিধি ব্যবস্থা সকলকে তাহারা স্বাৰ্থসাধনের একটা উপায় স্বরূপ করিয়া তুলিয়াছে; তাহারা প্ৰধানতঃ স্বার্থের জন্য ধৰ্ম্মের সেবা করিতেছে। ধৰ্ম্মের বহিরাবরণের প্রতি এই সকল লোকের অতিশয় দৃষ্টি, পুরাতন বিধি ব্যবস্থাকে রক্ষা করিবার জন্য ইহারা অতিশয় ব্যগ্র, এবং সর্ববিধ সংস্কার কাৰ্য্যের অত্যন্ত বিরোধী। ধৰ্ম্মের নাম ইহাদের মুখে থাকে, কিন্তু প্রেম ইহাদের অস্তরে থাকে না । সমুদায় তীর্থস্থানের