পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R. 8 8 উদয় হইল না । যাহারা এতদিন তঁহার প্রতি শক্ৰতাচরণ করিয়া আসিতেছে ও যাহার এক সময়ে তাহাকে হত্যা করিবার প্রয়াস পাইয়াছিল, তখন তাহদের প্রতি বৈর নিৰ্য্যাতন করিবার বুদ্ধি আসিল না ; অথবা মক্কার সম্পদ ঐশ্বৰ্য্য অধিকার করিবার ইচ্ছা হইল না ; কিন্তু তিনি একেবারে কাবামন্দিরের সন্নিকটে গিয়া এক ব্যক্তিকে উন্নত প্ৰসাদোপরি তুলিয়া দিলেন ; এবং বলিলেন, “তোমার কণ্ঠে যত শক্তি আছে সেই সমগ্ৰ শক্তির সহিত বল,-- মক্কাবাসিগণ শ্রবণ কর, এক সত্য ঈশ্বর ভিন্ন ঈশ্বর নাই।” প্রজীবনের দুঃখ দারিদ্র্যের দিনে যে কথা, সম্পদের দিনেও সেই থা। যে পীড়াতে মহম্মদের জীবন শেষ হইল, সেই শেষ পীড়ার সময়েও তিনি শিষ্যগণের স্কন্ধে ভর করিয়া এই কথা বলিতে উপাসনা মন্দিরে গিয়াছিলেন, যে “এক সত্য ঈশ্বর ভিন্ন ঈশ্বর নাই ।” এইরূপে সকল মহাজনেরই জীবনে অত্যাশ্চর্স্য চিত্তের এক-প্রবণতার প্রমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। তৃতীয়তঃ,—র্তাহাদের প্রেমের শক্তি অদ্ভুত ছিল। ইহঁরা সকলে সিদ্ধিলাভ করিয়া এদেশীয় যোগীদিগের ন্যায় আত্ম-তৃপ্ত হইয়া থাকিতে পারিলেন না কেন ? নানাপ্রকার নিগ্ৰহ সহ্যু করিয়াও মানবের স্বারে দ্বারে ভ্ৰমণ করিলেন কেন ? বুদ্ধ যে নিরঞ্জন নদীর তীরে, সিদ্ধিলাভ করিলেন, সেইখানেই কি জীবনের অবশিষ্ট কাল অতিবাহিত করিতে পারিতেন না? " কে ইহার উত্তরে সকলেই বলিবেন-নর-প্রেম ৮ মানবের প্রতি ।