পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8V ধৰ্ম্মজীবন । প্রতি আশা, এই ত্ৰিবিধ আশাগুণেই তাহারা শ্রেষ্ঠ ছিলেন। তাহারা ধৰ্ম্ম ১ নিয়মের প্রতি এমনি অবিচলিত আস্থা স্থাপন করিয়াছিলেন যে, সত্য ও সাধুতার জয় অনিবাৰ্য্য বলিয়া অনুভব করিতেন। নিজেদের চেষ্টার দ্বারা যে সেই সত্য-রাজ্য স্থাপিত হইতে পারে, সে বিষয়েও নিঃসংশয় ছিলেন, এবং মানব-প্ৰকৃতি যে ধৰ্ম্মের অনুকুল তাহাও বিশ্বাস করিতেন; তদ্ভিন্ন কোনও প্রকারেই এরূপ একনিষ্ঠতার সহিত কাৰ্য্য করিতে পারিতেন না । তাহদের এই আশার বিষয়ে নিবিষ্টচিত্তে চিন্তা- করিলে, অতীব বিস্ময়াবিন্ট হইতে হয়। যে সকল অবস্থাতে মানুষের আশা করিবার কোনও কারণই থাকে না, চারিদিক অন্ধকার বলিয়া বোধ হয়, একমাত্ৰ অবলম্বন স্বরূপ যাহা ছিল তাহাও চলিয়া যায়, এবং একাকী সংগ্রামক্ষেত্রে দণ্ডায়মান থাকিতে হয়, সে সকল অবস্থাতেও ইহাদের আশা হাদয়কে পরিত্যাগ করে নাই। সকল মহাজনের জীবনেই এই আশাশীলতার ভুরি ভুরি নিদর্শন প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। সকল ছাড়িয়াও যে পঞ্চ জন শিষ্য নির্জনের সঙ্গী ছিল, তাহারাও যখন ত্যাগ করিয়া গেল, বুদ্ধের জীবনের সেই মুহুর্তের কথা একবার স্মরণ করা। সেরূপ অবস্থাতে মানব-হৃদয় কি আর আশান্বিত থাকিতে পারে ? বজ-নিৰ্ম্মিত হৃদয়ও এরূপ সময়ে ভাঙ্গিয়া যায়। কিন্তু এইখানেই বুদ্ধের মহত্ত্ব যে সেরূপ অবস্থাতেও তাহার আশা আরও উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। তিনি নুতন প্ৰতিজ্ঞার সহিত ধৰ্ম্ম-সাধনে বসিলেন। একজন ইংরাজ কবি আশার বর্ণনা করিতে গিয়া বলিয়াছেন,-“আশা