পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধ্যাত্মিক ক্ষুধা-মান্দ্য। . Blessed are they which do hunger and thirst after righteousness for they shall be filledMathew, Chap.V. Vers 6 অর্থ-ধৰ্ম্মের জন্য ক্ষুধিত ও তৃষিত ব্যক্তিরাই সৌভাগ্যবান কারণ র্তাহাদের ক্ষুধা তৃষ্ণ চরিতার্থ হইবেই। মানুষের অভাবই বস্তুর মূল্য। যাহার জন্য কাহারও কোনও অভাব নাই, সে পদার্থের কোন মূল্যই নাই। স্বৰ্গ, রৌপ্য, হীরক, মণি, মুক্ত প্রভৃতি যে সকল পদার্থ জনসমাজে মূল্যবান বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে, মানুষে, না চাহিলে তাহাদের কি কোনও মূল্য থাকিত ? মানুষের সে সকলের অভাব আছে বলিয়া সে সকল এত মূল্যবান। পল্লীগ্রামের পথে চলিবার সময়ে পথের উভয় পার্শ্বে কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লতা গুল্ম, তৃণ জঙ্গল দেখিয়া থাকি ; কে সে সকল লতা গুলোর দিকে চাহিয়া দেখে বা তাহদের নাম ও প্ৰকৃতি বিষয়ে অনুসঁন্ধান করে ? প্ৰতিদিন আমরা সেই সকল লতা গুল্ম দেখি এবং প্রতিদিনই উপেক্ষা করিয়া চলিয়া যাই । কিন্তু এক দিন আমার গৃহে একটী শিশুর গুরুতর পীড়া উপস্থিত, চিকিৎসক মহাশয় একটী ঔষধ দিয়াছেন, তাহার অনুপানের জন্য একটী বিশেষ গুলোর পাতার রস চাই সেইদিন আমি আর এক চক্ষু লইয়া গৃহের বাহির হইয়াছি! সে দিন আর একভাবে সেই সকল লতা ও গুর্গের দিকে দৃষ্টিপাত্ত করিতেছি। t