পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*@8 ধৰ্ম্মজীবন । লাগিল। কিন্তু সকলেই দেখিয়া বিস্মিত হইলেন যে, ব্যাম্রাটী ছাগের নিকটে আসিয়া একবার মাত্র তাহার শরীর আভ্ৰাণ করিল ও সেই মুহুর্তেই তাঁহাকে পরিত্যাগ করিয়া গেল। তখন সকলে ভাবিলেন, এখন ক্ষুধা নাই, রাত্রিকালে ক্ষুধা হইলে তাহাকে নিহত করিবে । কিন্তু পরদিন প্ৰাতে দেখা গেল, ছাগটি নিরাপদে ব্যান্ত্রের শয়নাগারে বাস করিতেছে ; ব্যাস্ত্ৰ তাহাকে স্পর্শও করে নাই । তখন স্থির হইল, ব্যান্ত্রের কোনও প্রকার গুরুতর পীড়া জন্মিয়া থাকিবে । একবার চিন্তা করিয়া দেখ, এ জগতে কোনও পদার্থের জন্য কোনও প্রাণীর আগ্রহের যদি সম্ভাবনা থাকে, তবে জীবন্ত ছাগের জন্য ব্যান্ত্রের আগ্ৰহ সুনিশ্চিত। কিন্তু সেই জীবন্ত ছাগকেই ব্যাঘ্ৰ স্পর্শ করিল না। যাহার উপরে মহানন্দে লম্ফ দিয়া পড়িবার কথা, তাহাকে স্পর্শও করিল না । আর একটী গল্প বলি। প্ৰাচীন গ্রীসের স্পার্টা নগরের কথা সকলেই শুনিয়াছেন। এই স্পার্টাবাসিগণ, সাহস, শ্ৰমদক্ষতা ও সমরকুশলতার জন্য ইতিবৃত্তে প্ৰসিদ্ধ। স্পার্টাবাসিআহার করিবার সময় একপ্রকার কৃষ্ণবৰ্ণ eär ( black broth ) পান করিত, যাহার সুখ্যাতি দেশ বিদেশে প্রচার হইয়াছিল। লোকে বলিত স্পার্টার কৃষ্ণবৰ্ণ জুষের ন্যায় সুস্বাদু জুষ আর নাই। এইরূপে সেই কৃষ্ণবৰ্ণ জষের প্রশংসা শুনিয়া শুনিয়া মিশরদেশীয় একজন রাজার মনে তাহ পান করিয়া দেখিবার ইচ্ছা জন্মিল । তিনি স্পার্টানগর হইতে একজন সুপরিপক্ক পাচক আনাইলেন। পাচক সমুচিত সতর্কতার