পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R(R) ; : ধৰ্ম্মজীবন। । পাপের প্রতি ঘূণা জন্মিতে পারে, কিন্তু এক মুহুর্তে কেহ স্বর্গের দেবতা হইতে পারে না। পুণ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সাধনা-সাপেক্ষ, তাহ অনেক দিনের, অনেক পরীক্ষার ও অনেক সংগ্রামের ফল। মুমুক্ষু আত্মার ধৰ্ম্ম-ক্ষুধা জন্মিলে ঈশ্বর প্রার্থিত বস্তুকে ধীরে ধীরে দিয়া আগ্রহকে বৃদ্ধি করিয়া থাকেন । ইহা আমরা সকলেই অনুভব করিয়া থাকি, যে শারীরিক ক্ষুধামান্দ্যের ন্যায় আধ্যাত্মিক ক্ষুধামান্দ্য ও আছে। জগতে সদুপাদেশের অপ্রতুল নাই ; সাধুদুষ্টান্তেরও অভাব নাই ; কিন্তু যে ব্যক্তির ধৰ্ম্মের জন্য ক্ষুধা নাই, সে ব্যক্তির পক্ষে সে সমুদায় থাকিয়াও নাই। আমাদের কি সময়ে সময়ে ঐ রূপ অবস্থা ঘটিতেছে না ? কত ঋষি মুনির, কত সাধু সজ্জনের মহান উপদেশ সকল কি অনেক সময় আমাদের নিকট ব্যর্থ যাইতেছে না ? উপনিষদকার ঋষিগণ, অথবা ঈশা, মুষ, মহম্মদ প্রভৃতি মহাজনগণ, যদি আজ স্বৰ্গধাম হইতে অবতীর্ণ হন, তাহা হইলে কি আমাদিগকে লক্ষ্য করিয়া বলেন না—“আমরাত তোমাদের জন্য উত্তম সন্দেশ ভিয়ান করিয়াছিলাম, তোমাদের ক্ষুধা নাই, সে জন্য তাহার মূল্য বঝিতে পারিলে না ?” হ্যায় ! হায়! আমাদের অনেকের প্রতি তাহদের এই কথা খাটে । এখন প্রশ্ন এই, এ প্রকার আধ্যাত্মিক ক্ষুধামান্দ্য উপস্থিত হইবার কারণ কি ? ইহার অনেক প্রকার কারণ আছে। প্রথম কারণ জীবনের আদর্শ ও আকাঙক্ষার ক্ষুদ্রতা। মানুষের আদর্শ ও আকাঙক্ষা অনুসারেই তাহার জীবনের উন্নতি হইয়া