পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধ্যাত্মিক ক্ষুধা-মান্দ্য। নাই। মনে করিয়াছিলেন, ঈশ্বর দুৰ্ব্বলের ঐ অপরাধটুিকু গণনা করিবেন না। ঐ একটু একটু অসত্যাচরণও চলিবে এবং ঈশ্বরারাধনাও চলিবে । কিন্তু ফলে তাহ হইল না । ঈশ্বর শাস্তিস্বরূপ ধৰ্ম্মের ক্ষুধা নিবারণ করিয়া দিলেন । , চতুর্থ কারণ, ধৰ্ম্মবিরোধী সঙ্গ। এমন অনেক উপাসক আছেন যাহাদিগকে বাধ্য হইয়া এমন স্থানে ও এমন লোকের সঙ্গে দিবসের অধিকাংশ সময় যাপন করিতে হয়, যেখানে সততই কুৎসিত আলাপ, কুৎসিত আমোদ, বা কুৎসিত ক্রিয়া চলিয়া থাকে। তঁহারা চক্ষুলজ্জাবশতঃই হউক, বা অন্য কোনও কারণে হউক আপনাদিগকে ঐ সকল সঙ্গ হইতে বিছিন্ন করিতে পারেন না । তাহার ফল। এই হয়, তাহদের চিত্ত অল্পে অল্পে মলিন হইতে থাকে ; এবং তাহদের হৃদয়ের ধৰ্ম্মাগ্নি নিৰ্বাণ হইয়া যায়। শেষে তাহারাও লঘুভাবে কথা কহিতে ও লঘুভাবে চিস্তা করিতে অভ্যস্ত হন। তৎপর সাধুসঙ্গ অপেক্ষা এই সঙ্গ ভাল লাগিতে থাকে ; এবং শাস্ত্ৰালোচনা অপেক্ষা পরিচর্চাতে অধিক আনন্দ জন্মে। ক্রমে ক্রমে তাঁহাদের ধৰ্ম্মের ক্ষুধা একেবারে নির্বাণ হইয়া যায়। চিস্তা করিলে আধ্যাত্মিক ক্ষুধামান্দ্যের আরও অনেক প্রকার কারণ নিৰ্ণীত হইতে পারে। এ সকল কারণ প্ৰদৰ্শন করিবার অভিপ্ৰায় এই যে, আমরা এই সকলের দ্বারা নিজ নিজ হৃদয়কে পরীক্ষা করিয়া দেখিব এবং ঐ সকল কারণকে পরিহার করিবার চেষ্টা করিব। সকলের চিন্তা করিয়া দেখা উচিত তাহাদের আধ্যাত্মিক ক্ষুধা বাড়িতেছে কি কমিতেছে। য়ে