পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV 战 देख्दन् । তাবিত কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্যকে সুচারুরূপে নির্বাহ করা, এবং সর্ব বিষয়ে ও সর্ব কাৰ্য্যে ধৰ্ম্মের উচ্চ আদেৰ্শর অনুসরণ করা ও ঈশ্বরের সত্তা ও সান্নিধ্যে সুপ্ৰতিষ্ঠিত থাকা-ইহাও সামান্য মানসিক বলের কৰ্ম্ম নহে। জীবনের কৰ্ত্তব্য সম্পাদনে বা ঈশ্বরের শ্রবণ মননে প্ৰবৃত্ত হইতে গেলেই আমরা দেখিতে পাই যে, আমাদের প্রবৃত্তিকুল ও আমাদের উচ্ছঙ্খল প্ৰকৃতি আমাদিগকে সুস্থির হইতে দেয় না। চিত্ত সর্বদাই চঞ্চল হইয়া বিষয় হইতে বিষয়ান্তরে পরিভ্রমণ করিতে চায়। উচ্ছঙ্খল প্ৰকৃতিকে শৃঙ্খলিত করা ও চঞ্চল চিত্তকে সংযত রাখা কি সামান্য তপস্যার কৰ্ম্ম ? অতি প্রাচীন কাল হইতেই সকল শ্রেণীর সাধকগণ এই চিত্তচাঞ্চল্য নিবারণ করাকে দুষ্কর বলিয়া অনুভব করিয়া আসিতেছেন। ; ভগবদগীতাতে অর্জন কৃষ্ণকে বলিতেছেন ঃ চঞ্চলং হি মনঃ কৃষ্ণ প্ৰমাথি বলবদ্ধৃঢ়ৎ । তস্যাহং নিগ্ৰহং মন্যে বায়োরিব সুদুষ্করং ॥ অর্থ ---“হে কৃষ্ণ ! মন স্বভাবতঃ অতিশয় চঞ্চল ও অতিশয় অনবহিত, আমি তাহার নিগ্ৰহকে বায়ুর নিগ্রহের ন্যায় দুষ্কর বলিয়া মনে করি।” ইহাতে কৃষ্ণ উত্তর করিতেছেন অসংশয়ং মহাবাহো ! মনো দুর্নিাগ্ৰহং চলং । অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহতে ॥ অর্থ-“হে মহাবাহো ! মন যে স্বভাবতঃ চঞ্চল, তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু অভ্যাস দ্বারা ও বৈরাগ্যের দ্বারা তাহাকে সংযত করা যায়।” او به نمی .