পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RYstyr 鸭 शीदन । সে আবার অপরকে কিরূপে সামলাইবে ? যখন লোকে বলে ঐ দেখা পরিবার সকল উপাসনাবিহীন, ধৰ্ম্মভাববিহীন হইয়া যাইতেছে ; ঐ দেখ বালক বালিকাগণ ধৰ্ম্মভাববিহীন হইয়া পড়িতেছে ও দুশ্চরিত্র হইয়া উঠিতেছে ; ঐ দেখা নারীগণ স্বার্থপর ও বিলাস প্রিয় হইয়া পড়িতেছে ; তখন মন আরও গভীর নিরাশার মধ্যে পতিত হয় । মন বলিতে থাকে। এই সকলের উপায় বিধান কি আমার ন্যায় ক্ষুদ্র শক্তি-বিশিষ্ট লোকের কাজ ? এ সকল বিষয়ে চিন্তা করা কেবল যাতনা বৃদ্ধি করা মাত্র, আমি নিজের রোগেই নিজে মারি, অপর রোগীর সংবাদ আর কি লাইব ! অতএব এ সকল বিষয় আর দেখিব না, ভাবিব না, এ সম্বন্ধে আমার কিছু কৰ্ত্তব্য থাকিলেও তাহা সাধনের শক্তি নাই; সুতরাং সে বিষয়ে ভাবিবারও প্রয়োজন নাই। ওরা মরে মরুক, ডোবে ডুবুক, আমি যদি পারি আপনি বাচিবার প্রয়াস পাই । চিন্তা করিলেই দৃষ্ট হইবে, এরূপ ভাব মুলে সেই চিরন্তন স্বার্থপর সাধনের ভাব, অর্থাৎ সহজ তপস্যাতে ঈশ্বর লাভ করিবার প্রয়াস মাত্র। প্ৰকৃত বিশ্বাস ও প্রেমের প্রকৃতি এই, ইহা পরীক্ষাকে ভয় করে না, বিপদে আনন্দিত হয় ও শ্রমকে মিষ্ট জ্ঞান করে। সৈন্যগণ সচরাচর যুদ্ধের সাধারণ নিয়মানুসারে যুদ্ধ করে, কিন্তু কখনও কখনও বিশেষ -বিপদে এরূপ হয় যে জীবনের আশা ত্যাগ করিয়া শক্রবৃন্দের গোলাগুলির বর্ষণের মধ্যে অগ্রসর হইতে হয় । অনবরত বৃষ্টিধারার ন্যায় গোলাগুলি বর্ষণ হইতেছে, আর তন্মধ্যে কতিপয় বীরহাদয়