পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপসা ব্ৰহ্ম বিজিজ্ঞাসম্বর R 99 অকুতোভয়ে সিংহ-বিক্রমে শক্ৰকুলের অভিমুখে দোঁড়িতেছে। ইহাতে কিরূপ সাহস ও স্বদেশ-গ্ৰীতির পরিচয় ! তেমনি জীবনের নানা অসুবিধার মধ্যে যিনি ধৰ্ম্মকে আশ্রয় করিয়া থাকেন, তাহাতেই প্ৰকৃত বিশ্বাস ও প্রেমের পরিচয় । অতএব জীবনের প্রতিদিনের কাৰ্য্যের মধ্যেও একপ্রকার তপস্যা আছে, যাহ। চিত্তের একাগ্রতার দ্বারা লাভ করিতে হয় । এই তপস্য। ব্ৰহ্মকে জানিবার একটি প্রধান উপায়-স্বরূপ। ঋষিগণ বলিয়াছেন তপস্যা দ্বারা ব্ৰহ্মকে জানি এই উক্তির মধ্যে কি গভীর তাৎপৰ্য্য নিহিত রহিয়াছে। ঋষিগণ একথা বলিলেন না, -বিচার দ্বারা বা শাস্ত্রালোচনার দ্বারা ব্ৰহ্মকে জানি, কিন্তু বলিলেন যে তপস্যার দ্বারা ব্ৰহ্মকে জান । ইহার কারণ কি ? চিন্তা করিলেই ইহার কারণ অনুভব করিতে পারা যাইবে। ব্ৰহ্মবিদ্যা ও ব্ৰহ্মজ্ঞান এ দুইটী স্বতন্ত্র বস্তু ! ব্ৰহ্মের স্বরূপ বিষয়ে নানা যুক্তি ও নানা শাস্ত্রের মত বিষয়ে যিনি অভিজ্ঞ তিনি ব্ৰহ্ম-বিদ্যাতে নিপুণ, কিন্তু নিজ আত্মাতে ব্ৰহ্মস্বরূপের আস্বাদন যিনি করেন, তিনিই প্ৰকৃত ব্ৰহ্মজ্ঞ। যুগোপযুগে সাধুগণ। একবাক্যে এই কথাই বলিতেছেন যে, চিত্তের পবিত্ৰতা না হইলে, ব্ৰহ্মদর্শন অথবা ব্ৰহ্মের রূপাস্বাদন হয় না । তপস্যার এই মহাগুণ, ইহা চিত্তকে স্বার্থ ও সুখাসক্তির নিম্নভূমি হইতে - তুলিয়া নিঃস্বাৰ্থতার ও কৰ্ত্তব্যপ্রিয়তার উচ্চ ভূমিতে স্থাপন করে। সেই উচ্চ ভূমির পবিত্র বায়ুই ব্ৰহ্মসাক্ষাৎকার লাভের অনুকুল। চিত্তের একাগ্রতার দ্বারা প্ৰবৃত্তিকুলের উত্তেজনা প্ৰশান্ত হয়, অধ্যাত্মিক দৃষ্টি উজ্জ্বল ও আত্ম