পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 9 ধৰ্ম্মজীবন ৷ হিংসীঃ”—“আমাকে বিনাশ করিও না”। তৎপরেই এই শক্তির প্রসাদন প্রয়োজনীয় বোধ হইয়াছে; এবং প্ৰসাদনার্থ বিবিধ উপায় অবলম্বিত হইয়াছে। ইহাই আদিম পুজা । কিন্তু ভয় হইতে যে পূজার উৎপত্তি হয়, তাহাতে বলিদানের ভাব সন্নিবিষ্ট হওয়া অনিবাৰ্য্য। কারণ মানুষ আপনার জীবনের ঘটনা দিয়াই বিচার করে। আদিম অবস্থার মনুষ্যগণ দেখিয়াছে, যে যখন কোনও দুৰ্জয় রাজা বা দস্ল্য-দলপতি অপর দেশকে আভ্ৰমণ করে, তখন কিছু না লইয়া যায় না। BDBBDBB DB S DBBD D DDBD BBDS DBDDB SBBD DDO কিছু দেও, যাহাতে তাহদের সন্তোষ সাধন হইতে পারে। বিগত শতাব্দীতে আমাদের এই বঙ্গদেশে বগাঁর হাঙ্গামা ছিল। বগিগণ যখন আসিত তখন কিছু না লইয়া যাইত না । টাকা দিতে না পার, ক্ষেত্রের শস্য দেও ; ক্ষেত্রের শস্য না থাকে, ২২ গরু বাছুর দেও; কিছু দিতেই হইবে, নতুবা নিষ্কৃতি নাই। ভয়ের ধৰ্ম্মেও এই ভাব। কয়েক বৎসর পূর্বে এদেশের আপামর সাধারণ সকল লোকেই প্ৰেতাবেশে বিশ্বাস করিত। বালক বালিকা বা অজ্ঞ স্ত্রীলোকদিগের উপরেই এই সকল উপদেবতার বিশেষ দৌরাত্ম্য ছিল। যখন কোনও ব্যক্তি এইরূপে প্ৰেত্যাবিষ্ট বা উপদেবতাগ্ৰস্ত হইত, তখন লোকে বিশ্বাস করিত যে কিছু না লইয়া যাইরে না । সুতরাং ওকাগণ আসিয়া উপদেবতাদিগের অনেক সাধ্য সাধনা করিত। বলিত -“ঠাকুর একে ছাড়িয়া দেও, তুমি কি চাও বল ?” অনেক সাধ্য সাধনার পরে একটা কিছু বলির বন্দোবস্তে রফা করিয়া