পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ScR:Á e cacIs Kí Sgዓፃ করিবার নিমিত্ত স্বৰ্গ নরককে অস্ত্ৰীস্বরূপ ব্যবহার করিতে হয়, প্রেমের ধৰ্ম্মে স্বৰ্গ নরকের চিন্তাও মনে আসে না ; অথচ তীব্র অনুতাপের উদয় হয়। আমি কেন কঁাদিতেছি ; এজন্য নহে যে পাছে নরকে যাই, কিন্তু এই জন্যই যে এই পাপের নিমিত্ত আমার প্ৰেমাস্পদের সহিত যোগ হইতেছে না ।” এই প্রেমিকের ভাষা। এই জন্য এ কথা যথার্থ যে, অনেক সাধককে অনুতাপরূপ দ্বারা দিয়া প্রেমের ধৰ্ম্মে প্ৰবেশ করিতে হয়। অনুতাপ দীনতাকে আনিয়া দেয় ; দীনতা ভক্তিকে আনয়ন করে। এই প্রেমের ধৰ্ম্মের দ্বারে আর এক প্রকার ভগ্ন-হৃদয়তা দেখিতে পাওয়া যায়। অনুতাপের জন্ম নিজকৃত পাপের স্মৃতি হইতে । সে ভগ্ন-হৃদয়তার জন্ম অপরের কৃত পাপের স্মৃতি হইতে । আপাততঃ এ কথা অনেকের পক্ষে অতি বিচিত্ৰ বোধ হইতে পারে। অপরের পাপ স্মরণ করিয়া মানুষের কি এরূপ দুঃখ হইতে পারে যে তাহতে হৃদয় ভাঙ্গিয়া যায় ? ইহা ত সম্ভব বোধ হয় না। কিন্তু প্রেমিক সাধুগণের জীবনে ইহা বার বার দেখা গিয়াছে । তাহারা মানব-সমাজকে এত প্ৰীতি করিতেন যে মানব-সমাজের এক একটী পাপ এক একটী বিষাক্ত বাণের ন্যায় তাহদের হৃদয়ে বিদ্ধ হইত। ; এবং মানব-সমাজের দুঃখ দুৰ্গতির চিন্তা তাহাদিগকে দিনরাত্ৰি শান্তিহীন করিয়া রাখিত । আমাদের হৃদয়ের যেরূপ প্ৰেমহীন অবস্থা তাহাতে এই বৰ্ণনাকে আমরা কবিত্বপূর্ণ ও অতিরঞ্জিত বলিয়া মনে করিতে পারি। কিন্তু ইহাতে একবিন্দু ও কবিত্ব বা অতিরঞ্জিত বর্ণনা নাই। প্ৰত্যেক মহাজনের জীবনেই আমরা দেখিতে