পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমের ধৰ্ম্ম ও ক্রিয়ার ধৰ্ম্ম । **○ জীবনের পরম লক্ষ্য হয়, আর সমুদায় উপলক্ষোর মধ্যে পড়িয়া যায় ; ইহাতেই তাহারা দ্বন্দ্বাতীত । প্রেমই তাহদের পরিচালক, প্রেমই তঁহাদের গতি নিৰ্ণয় করিয়া দেয়, প্রেমই তঁহাদিগকে সুখ দুঃখের অতীত করিয়া রাখে । কিন্তু এই প্ৰেম সম্পূর্ণ অন্তরের যথার্থ, আধ্যাত্মিক বস্তু । ইহা ব্যতীত আরও কতকগুলি বাহিরের বিষয় জগতে ধৰ্ম্ম শব্দের বাচ্য হইয়াছে । জগতের সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ই কতকগুলি বাহিত্যু ক্রিয়াকে ধৰ্ম্ম সাধনের অঙ্গ বলিয়া গণনা করিয়া থাকে । ধৰ্ম্মচিন্তা বা ধৰ্ম্মভাব মানবঅন্তরে অভূদিত হইলে তাঁহা কতকগুলি বাহ্যিাক্রিয়াতে আপনাকে প্ৰকাশ করিয়া থাকে । ইহা স্বাভাবিক ও অনিবাৰ্য্য। আদিম কালের মানুষ যখন সর্বপ্রথম আত্মার অমরত্বে বিশ্বাস করিতে লাগিল, তখন মৃত দলপতিদিগের কবরে তাহদের পরিহিত অস্ত্ৰ শস্ত্ৰ, বসন ভূষণ দিতে আরম্ভ করিল ; মনে করিল, পরকাল যাত্রার সময়ে সেগুলির প্ৰয়োজন হইতে পারে। এইরূপেই ভারতীয় হিন্দুগণের পিণ্ডদান ও তর্পণের প্রথা প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে। আমরা এক্ষণে এ সকল কথা শুনিয়া হাস্য করিতে পারি, কিন্তু ঐ সকল ক্রিয় যে এক সময়ের লোকের আন্তরিক বিশ্বাসের চিহ্ন-স্বরূপ ছিল তাহাতে আর সন্দেহ নাই। এইরূপ সৰ্ব্বদেশেই এবং সাইয়াতি মধ্যেই মানব-অন্তরের ধৰ্ম্মভাব বাহ্যক্রিয়ার , নাই। এঁরণ করিয়াছে যে ক্রিয়া এক সময়ে স্বাভাবিক ধৰ্ম্মেৱ যে नक्शांएछ, তাহাই পরবত্তী বংশপরস্পরারে সকল বিধিব্যবস্থা করিয়াছে । ।