পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VoY 8 ar ffurfiad i জনদিগের জীবন-চরিত যদি আলোচনা করা যায়, তাহা হইলে দেখা যায় যে, তাহারা যেন বহুদিন অতৃপ্ত অস্তরে কি একটা অন্বেষণ করিয়া বেড়াইয়াছেন ; এবং যতদিন সেই বস্তুটা ধরিতে না পারিয়াছেন, ততদিন তঁহাদের চিত্ত কিছুতেই তৃপ্তি লাভ করিতে পারে নাই। চির প্রচলিত ধৰ্ম্মের যে সকল ক্রিয়াকে অবলম্বন করিয়া লক্ষ লক্ষ সাধারণ লোক সন্তুষ্ট থাকিয়াছে, র্তাহারা তাহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে পারেন নাই। সে সকলকে তুষি বোধে উপেক্ষা করিয়া যেন তাহারা কি শস্যের অনুসন্ধান করিয়াছেন। এই শস্য কি ? যাহা না হইলে আর সমুদায়ই অসার হইয়া যায় ? প্ৰকৃত সাধাকদিগের এই সার শস্যের প্রতিই প্ৰধান দৃষ্টি । ইহা অপেক্ষা যাহা অল্প অর্থাৎ হীন তাহাতে তাহারা কোনও রূপেই তৃপ্ত হইতে পারেন না । সকল বিষয়েই সারটা না। দিয়া অসার বস্তু দিলে বুদ্ধিমান লোকে সন্তুষ্ট হয় না। মনে কর একজন দোকানদার তোমার নিকট প্ৰাপ্য টাকার জন্য তাগাদ করিতে আসিয়াছে। তুমি তাঁহাকে এস ভাই, বস ভাই, বলিয়া অভ্যর্থনা পূর্বক বসাইলে, ভদ্রতার রীতি অনুসারে পাণ তামাক দিলে, প্রচুর পরিমাণে মৌখিক সৌজন্য প্ৰদৰ্শন করিলে, অনেক গল্প গাছা হাস্য পরিহাস করিলে কিন্তু তাহার টাকা কয়ট কবে দিবে। তাহার কিছু বলিলে না । ইহাতে কি সে সন্তুষ্ট হয় ? সে কি তোমার পাণ তামাক ও সৌজন্য দেখিয়া ভুলে ? কখনই না, অবশেষে সে তোমাকে বলে, “মহাশয় ! - ও সব কথা থাক্ টাকা কয়ট কৰে দিবেন বলুন।”