পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাত্মজাত আত্ম। " \9à GQ এইরূপে এদেশীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের সৃষ্টি হইয়াছে। গ্ৰহনক্ষত্রগণ কোনও সূক্ষম ও অতীন্দ্ৰিয় প্ৰণালীতে মানবের ভাগ্যকে নিয়মিত করে কি না জানি না ; কিন্তু অনেকে বিশ্বাস করেন যে, বিশেষ বিশেষ তিথিতে মানবের দেহের স্বাস্থ্যের অবস্থা বিশেষ বিশেষ ভাবে পরিবর্তিত হইয়া থাকে। যাহাঁদের দেহ বাত-রোগগ্ৰস্ত র্তাহারা অমাবস্যা পূর্ণিমা প্ৰভৃতি তিথিতে এ সকলের পর্য্যায় অনুসারে তঁহাদের দৈহিক অবস্থার ইতরবিশেষ লক্ষ্য করিয়া থাকেন। তিথি বিশেষে তঁহাদের পীড়ার হ্রাস ও বৃদ্ধি হইয়া থাকে। এই বিষয়টাও যে ভুয়োদর্শন দ্বারা অভ্ৰান্তরূপে বিজ্ঞানের সূদৃঢ় ভূমির উপরে স্থাপিত হইয়াছে 6° ६ | আর এক প্রকার সূক্ষম ভৌতিক শক্তির কার্য্য আমরা প্ৰতিদিন প্ৰত্যক্ষ করিতেছি । যখন কোনও সহরে বসন্ত কলেরা প্ৰতিভূতি সংক্ৰামক রোগের প্রাদুর্ভাব হয়, তখন তাহাদের ভয়ে সেই নগরবাসী লোকদিগকে সর্বদাই সশঙ্কিত থাকিতে হয়, কিন্তু কেন যে ঐ সকল রোগ এত সংক্ৰামক, কেন যে উহারা মানবদেহকে এমন কঠিনরূপে আক্রমণ করে, তাহা আমরা জানি না। চিকিৎসা-তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ বলিয়া থাকেন যে ঐ সকল রোগের সূক্ষম বীজ সকল জল, বায়ু, অন্ন, পান প্রভূতিতে পরিব্যাপ্ত হইয়া মানবদেহে সংক্রান্ত হইয়া থাকে। কিন্তু এই সকল সূক্ষ্য-বীজ যে কি প্রকার, কেন যে তাহার এক দেহে কাৰ্য্য করে এবং অপরদেহে করে না, সে বিষয়ে তাহারা অদ্যাবধি কোনও স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে সমর্থ হন।