পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাত্মজাত আত্মা। � চমৎকার ! কি সুন্দর ! কেন এরূপ হয় ? এই একই মন্দির, একই আচাৰ্য্য, একই উপাসকমণ্ডলী,—সে দিন যে নূতন কেহ আসিয়া বেদীতে বসেন, নূতন উপাসমণ্ডলীর দ্বারা মন্দির পূর্ণ হয় তাহা নহে, কিন্তু সে দিন এই মন্দিরে কি এক নূতন ভাবের তরঙ্গ প্রবাহিত হয় । কেন এমন হয় ? ইহার কারণ এই যে, সে দিন উপাসকগণ কি এক নূতন ভাবে, কি এক নূতন ব্যাকুলতার সহিত এখানে আসিয়া উপস্থিত হন, যে ব্যাকুলত এক আত্মা হইতে অপর আত্মাতে সঞ্চারিত হয় । সে দিন এক আত্মার প্ৰেম অপর আত্মাতে গিয়া সঞ্চারিত হয় ; সে দিন শক্তি, সংক্রামক রোগের ন্যায়, এক হৃদয় হইতে অপর হৃদয়ে সঞ্চারিত হয়। আমরা সকলেই অনেকবার দেখিয়াছি যে ভয় সাহস প্রভৃতিও এক হৃদয় হইতে অপর হৃদয়ে সংক্রান্ত হইয়া থাকে ! বিদ্যালয়ে দশটী বালক বসিয়া বিদ্যাভ্যাস করিতেছে, হঠাৎ তাহাদের মধ্যে একজন কোনও কারণে ভীত হইয়া “মাগে৷” বলিয়। চীৎকার করিয়া উঠিল, অমনি আর সকলে নিমেষের মধ্যে চমকিরা উঠিল এবং সভয়ে উঠিয়া দাড়াইল । ইহা কেমন সূক্ষম এবং অতীন্দ্ৰিয় ব্যাপার। সাহস সম্বন্ধেও এইরূপ। রণক্ষেত্রে সৈন্যগণ পরাস্ত হইবার উপক্রম দেখিয়া নিরাশ হৃদয়ে পৃষ্ঠভঙ্গ দিতেছে, এমন সময়ে হঠাৎ পশ্চাৎ দিক হইতে একজন বীর-হৃদয় যোদ্ধা “ভয় নাই, অগ্রসর হও” বলিয়া বজ-গম্ভীর নিনাদে তাহাদিগকে আহবান করিলেন, আমনই সকলে আবার বীরবলে বলী হইয় তাহার অনুসরণ করিতে লাগিল । ইহা কেমন সংক্ৰামক ! K