পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vrijfgas wifeny KONGS অতি অল্প ! এ প্রশ্ন স্বতঃই হৃদয়ে উদিত হয় যে, এত প্রার্থনা বৃথা যায় কেন ? দ্বিতীয়তঃ, অনেক স্থলে এরূপ দেখা যায় যে, দুইজন ধৰ্ম্মার্থীর মধ্যে একজনের জীবনে প্রার্থনার অতি আশ্চৰ্য্য ফল ফলে, আর একজনের জীবনে তাহার ফল কিছুই দুষ্ট হয় না । দ্বিতীয় ব্যক্তি হয়ত বিশ বৎসর কিম্বা ত্ৰিশ বৎসর কাল ধৰ্ম্মসমাজের ক্ৰোড়ে পড়িয়া রহিয়াছেন, সাপ্তাহিক বা পারিবাৱিকি উপাসনাতে রীতিমত যোগ দিয়া থাকেন, ধৰ্ম্মসমাজের বিধি সকল পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করেন, এবং ঈশ্বর-চরণে নিত্য অনেক সুদীর্ঘ প্রার্থনা করিয়া থাকেন, অথচ তাহার ধৰ্ম্মজীবনে উন্নতির বিশেষ কোনও লক্ষণ লক্ষিত হয় না । তিনি বিশ বৎসর পূর্বে যাহা ছিলেন আজিও তাঁহাই রহিয়াছেন। সেই স্বার্থপর, ক্ষুদ্রাশয়, সংকীর্ণ চেতা ও অনুদার মানুষ রহিয়াছেন; সেই কামী, ক্ৰোধী, ঈৰ্ষাপরতন্ত্র লোক রহিয়াছেন ; বিশ বৎসর পূর্বে তাঁহাকে যিনি দেখিয়াছেন, তিনি যদি আজি আসিয়া দেখেন, হয়ত আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া বলিবেন যেখানকার মানুষ সেখানেই রহিয়াছে। বিষয়াসক্তির কিছুমাত্র হ্রাস হয়। নাই ; জ্ঞান বা প্রেমের গভীরতা কিছুমাত্র বৃদ্ধি পায় নাই ; চরিত্রে ভক্তির বিকাশ কিছুমাত্র হয় নাই। চিন্তা করিয়া দেখ কত ব্যক্তির জীবন সম্বন্ধে এ কথা সত্য । আবার এরূপ লোকও দেখিতেছি, যাহারা ব্যাকুল প্রার্থনার গুণে দিন দিন অগ্রসর হইয়া যাইতেছেন। এই উপাসনা ও প্রার্থনা তাহদের জীবনে কি সুমিষ্ট ফলই প্রসব করিতেছে! প্রার্থনা যদি ধৰ্ম্মজীবন লাভের একটী প্ৰধান উপায় হয় তবে তাহার ফলে এত তার